চারদিক থেকে প্রবল সমালোচনার জেরে এবার পিছু হঠলেন অরবিন্দ সাওয়ান্ত। তিনি শনিবার ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ৫৫ বছরের রাজনৈতিক কেরিয়ারে আমি কখনও মহিলাদের অসম্মান করিনি।
তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন শিবসেনার একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর নেত্রী শায়না এনসি। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে অরবিন্দ সাওয়ান্ত তাঁর সম্পর্কে অপমানজনক কথাবার্তা বলেছেন। তিনি এনিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
এদিকে অরবিন্দ সাওয়ান্ত বলেন, আমার কথার একটা অন্য মানে করে আমাকে টার্গেট করা হয়েছে। আমি অত্যন্ত কষ্ট পেয়েছি। আমার কথায় কেউ যদি আঘাত পেয়ে থাকেন তবে আমি ক্ষমা চাইছি। নারীদের সম্মান করার বিষয়টি দল হিসাবে দেখাটা ঠিক নয়।
আসলে সাওয়ান্ত বলেছিলেন, তার অবস্থাটা একবার দেখুন। তিনি বিজেপিতে ছিলেন। এখন আবার অন্য দলে চলে এসেছেন। ইমপোর্টেড মাল এখানে কাজ করতে পারবে না। একমাত্র আসল মাল এখানে কাজ করতে পারবে। এরপরই এনিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
শায়না বলেছিলেন, আপনি নারীদের সম্মান করছেন না। রাজনীতিতে থাকা একজন নারীকে আপনি অপমান করছেন। এখন আপনি বেহাল হবেন কারণ আপনি মহিলাকে মাল বলেছেন। আমি পদক্ষেপ নিলাম কি নিলাম না সেটা ব্যাপার নয়, পাবলিক আপনাকে বেহাল করবে।
তিনি বলেছিলেন, সেই সময় কংগ্রেস এমএলএ আমিন প্যাটেল ছিলেন। তিনি এসব কথা শুনে হাসছিলেন।
এদিকে এই বিতর্কিত মন্তব্যের পরেই অস্বস্তি বাড়তে থাকে শিবসেনা শিবিরে।
এর আগে শায়না বিজেপি শিবিরেই ছিলেন। তবে পরবর্তীকে আসন সমঝোতা নিয়ে তাঁর সঙ্গে মতবিরোধ তৈরি হয়। তার জেরে তিনি শিবসেনাতে যোগ দেন। এরপর মুম্বাদেবী আসন থেকে তিনি ভোটে লড়ার টিকিট পেয়ে যান। সেই মতো লড়াই জমে উঠেছে। কিন্তু তার মধ্য়েই সামনে এল এই নয়া বিরোধ।
আসলে কিছুদিন আগে সাংবাদিকরা শায়না সম্পর্কে সাওয়ান্তের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন। সেই প্রশ্নের উত্তরে সাওয়ান্ত এমন কিছু মন্তব্য করেন যেটা ঠিক সম্মানজনক নয়। শায়না এনসি জানিয়েছেন, আমরা( বিজেপিতে থাকাকালীন) তাঁর ( সাওয়ান্ত) হয়ে প্রচার করতাম। আমাদের শক্তিতে তিনি ভোটে জিতেছিলেন। আমি মুম্বইয়ের একজন আদরের কন্যা। আমি এই শহরের জন্য় কাজ করি। আমার শিবসেনা ইউবিটি বা সাওয়ান্তের কোনও সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই।
সাওয়ান্ত পরে জানিয়েছেন শায়নার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো। তিনি হয়তো ভুল বুঝেছেন। তিনি হয়তো আমায় ভুল বুঝেছিলেন। তাঁকে আমি অপমান করতে চাইনি।