স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সেট করে দিয়েছিলেন টার্গেট। ২০২৬ সাল ছিল ডেডলাইন। তার মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদীদের নির্মূল করার অঙ্গীকার নিয়েছিলেন তিনি। সেই লক্ষ্য পূরণে এবার মাওবাদী ডেরা হিসাবে পরিচিত ছত্তিশগড়ের দক্ষিণ বস্তারে ৪ হাজার বাড়তি জওয়ান মোতায়েন করছে সিআরপিএফ।
অমিত শাহের দেওয়া টার্গেট ২০২৬ সালের মধ্যে মাওবাদী নির্মূল করার লক্ষ্যে ঝাড়খণ্ড, বিহার থেকে বেশ কিছু ট্রুপ যাচ্ছে ছত্তিশগড়। উল্লেখ্য, মাওবাদী ডেরার আঁতুরঘর-এ গত কয়েক বছর ধরে গোয়েন্দা তথ্য ভিত্তিক কাউন্টার অপারেশন চলছে। দক্ষিণ বস্তারে মাওবাদীদের ডেরায় হানা দিয়ে বড়সড় অভিযানে নামে ফোর্স। জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড়ের বস্তারে তিন ব্যাটালিয়ান ফোর্স আনা হয়েছে ঝাড়খণ্ড থেকে। একটি ব্যাটালিয়ান ফোর্স যাচ্ছে বিহার থেকে। বস্তারের মাওবাদী দুর্গে আগাত হানতে এই উদ্যোগ। মাওবাদীদের ১০০ টি ফরোয়ার্ড অপারেটিং বেসে সিআরপিএফ টিম রয়েছে। এর আগে, এই এলাকাগুলিতে প্রবেশ করতেে পারত না সরকার। সাধারণ মানুষ তো একেবারেই না। সেই সমস্ত ফরোয়ার্ড অপারেটিং জোনকে ঘিরে ফেলেছে সিআরপিএফ।
এর আগে, অমিত শাহ ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে মাওবাদী ধ্বংস করে ফেলার জন্য টার্গেট দেন। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই হুঙ্কারের পর পরই দক্ষিণ বস্তারে মাওবাদী ডেরা ঘিরে ক্রমেই প্রতিঘাতের দিকে এগোচ্ছে ফোর্স। উল্লেখ্য, মাওবাদী ডেরা চূর্ণ করতে, প্রথমেই সাধারণ মানুষকে নিজের পক্ষে নেওয়ার পথে এগোয় প্রশাসন। সেখানে উন্নতমানের রাস্তা, সামাজিক উন্নয়ন, সহ একাধিক পদক্ষেপ সরকার করেছে। এর হাত ধরে ধীরে ধীরে মাওবাদীদের প্রভাব থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে আনা গিয়েছে। এদিকে, অমিত শাহ সাফ জানিয়েছেন, কোনও রেয়াত না করে মাওবাদীদের দমনে এই অভিযান চলবে। ২০১০ সালে শেষবার বাম উগ্রপন্থা সংক্রান্ত ঘটনা যা ছিল তা থেকে এটি ৭৩ শতাংশ কম হয়। তারপর থেকে সেই শতাংশ হু হু করে নামতে থাকে। এছাড়াও ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল তুলনা করলে দেখা যাবে, নিরাপত্তা কর্মী ও সাধারাণ মানুষের হত্যাও আগের থেকে ৮৬ শতাংশ কমেছে বাম উগ্রপন্থাকে কেন্দ্র করে।