সাংবাদিক মহম্মদ জুবায়েরকে জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার শুনানি চলাকালীন আজ বেশ কয়েকটি পর্যবেক্ষণ পেশ করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এদিন বিচারপতি শুনানির সময় বলেন, ‘আমরা কীভাবে একজন সাংবাদিককে টুইট না করার জন্য বলতে পারি? এটা তো এমন হল যে একজন আইনজীবীকে বলছি যে আপনার তর্ক করা উচিত নয়।’ এদিন মহম্মদ জুবায়েরের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতিটি এফআইআরে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, গ্রেফতারের ক্ষমতার প্রয়োগ অবশ্যই সংযতভাবে করতে হবে। জুবায়েরকে আর হেফাজতে রাখার কোনও যৌক্তিকতা নেই বলেও পর্যবেক্ষণ দেন ।
এদিকে মহম্মদ জুবায়েরের বিরুদ্ধে মামলাগুলির তদন্তের জন্য উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলকে ভেঙে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জুবায়েরের বিরুদ্ধে সমস্ত এফআইআর একত্রিত করে এর তদন্তভার দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের কাছে হস্তান্তর করে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে জুবায়েরের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে টুইট সংক্রান্ত কোনও মামলা দায়ের হলে তাতেও জামিন পাবেন তিনি।
শীর্ষ আদালত এদিন বলে, ‘আমাদের মতে, সমস্ত এফআইআর থেকে জুবায়েরকে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দেওয়া উচিত। আইন বলে, গ্রেফতার করার ক্ষমতাও বুঝে প্রয়োগ করা উচিত পুলিশের। বর্তমানে জুবায়েরকে জেলে বন্দি করে রেখে বা একের পর এক আদালতে জামিনের জন্য ওঁকে ঘোরানোর কোনও ন্যায্য কারণ নেই।’
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের একটি টুইটের প্রেক্ষিতে এই সাংবাদিককে পুলিশ গ্রেফতার করে গত সোমবার। জানা গিয়েছে ২০১৮ সালের টুইটে জুবায়ের লিখেছিলেন, ‘২০১৪ সালের আগে: হানিমুন হোটেল, ২০১৪ সালের পর হনুমান হোটেল।’ এই টুইটের প্রেক্ষিতে জুবায়েরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় বিভিন্ন জায়গায়। অভিযোগ, হনুমানজি যেহেতু ব্রহ্মচারী, তাঁর সঙ্গে হানিমুন যুক্ত করে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে।