২০২১ সালের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে সংগঠিত হয় বিধানসভা ভোট। সেই সময় জোরকদমে ভোট প্রচারের মাঝেই দেশজুড়ে থাবা কষায় করোনার দ্বিতীয় স্রোত। যার জেরে ত্রাহি ত্রাহি রবের মাঝে কার্যত পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খায় প্রশাসন। এরপর বছর ঘুরতেই আরও এক ভোট-উৎসব। উত্তর প্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে ২০২২ -এ রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন । তার আগে ধীরে ধীরে ওমিক্রণ আতঙ্ক গ্রাস করছে দেশকে। এমন অবস্থায় সতর্কতার পথে হেঁটে ভোটমুখী রাজ্যগুলির জন্য নয়া নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
ভোটমুখী রাজ্যগুলিকে ভ্যাকসিনেশনের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এই সমস্ত রাজ্যের যে জেলাগুলিতে কম মানুষের ভ্যাকসিনেশন হয়েছে, সেদিকে নজর কড়া করতে বলেছে কেন্দ্র। একদিকে যখন দেশে হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে ওমিক্রণের সংক্রমণ তখনই কেন্দ্রের তরফে এসেছে এমন এক নির্দেশিকা। এদিন দেশের করোনা গ্রাফেও দেখা যাচ্ছে পরিসংখ্যান খুব একটা সুখকর বার্তা দিচ্ছে না। এদিকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা নিয়ে এদিন বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এদিকে, বছর ঘুরতেই উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, গোয়াতে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তার জন্য প্রচারের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবির। ভোটযুদ্ধ ঘিরে এখন থেকেই বহু রাজ্যে সভা সমিতির ভিড় দেখা যেতে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় যাতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ওমিক্রণ থাবা কষাতে না পারে, তার দিকে কড়া নজর রাখছে কেন্দ্র। এদিকে, সভা সমিতিগুলি যাতে সম্ভাব্য করোনা হটস্পট না হয়ে ওঠে তা নিয়ে সাবধনতার বার্তা দিচ্ছে প্রশাসন। কেন্দ্রের তরফে স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে, এলাকার করোনা কেসগুলিতে সঠিক নজরদারি হয়। করোনার ক্লাস্টার,পজিটিভিটি রেট সহ বিভিন্ন দিকে খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যগুলিতে যাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিনেশন করা হয়, তার বার্তাও দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সামনেই বড়দিন, তারপরই নববর্ষ। তার আগে, উৎসবমুখরতার মাঝে যেন করোনা ঘিরে সতর্কতা জারি থাকে সেবিষয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নজরদারির কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে রাতের কার্ফু ও কন্টেইনমেন্ট জোনের ক্ষেত্রে রাজ্যপ্রশাসন সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশিকা। তবে যে কোনও জমায়েতের ক্ষেত্রগুলির দিকে রাজ্যগুলিকে কড়া নজরদারির কথা বলেছে কেন্দ্র।