বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজাপ খাতুনগঞ্জে সেদেশের দেশীর পেঁয়াজ ও ভারতীয় পেঁয়াজের রমরমা তুঙ্গে। এমনই দাবি বাংলাদেশের ‘কালের কণ্ঠ’এর এক রিপোর্টের। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে এপর্যন্ত এখনও কোনও পেঁয়াজ বাংলাদেশে সমুদ্রপথে ঢোকেনি। প্রসঙ্গত, ভারতের বিকল্প দেশ পাকিস্তান, মিশর, মায়ানমার, চিন, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক ও থাইল্যান্ড থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেনারে করে মূলত পেঁয়াজ আমদানি হয় বাংলাদেশে।তবে এবার স্থলপথে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে সেদেশে, এমনই খবর তুলে ধরেছে ওই প্রতিবেদন।
ওই রিপোর্টে বলা হচ্ছে, আমদানিকারকরা আমদানি অনুমতি নিলেও ভারতের বিকল্প যে সমস্ত দেশ রয়েছে, যেমন পাকিস্তান, মিশর, মায়ানমার, চিন, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক ও থাইল্যান্ড থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছেন না। রিপোর্ট বলছে, এখন বাংলাদেশ মুড়িকাটা পেঁয়াজ আর ভারত থেকে স্থলপথে পণ্যটি আমদানি হচ্ছে। আর সেকারণেই সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এদিকে, ভারতের পেঁয়াজ স্থলপথে বাংলাদেশে এন্ট্রি নিতেই জলপথে ভারতের বিকল্প দেশগুলি থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজের আমদানি থমকে গিয়েছে। তথ্য বলছে, পাইকারি বাজারে বাংলাদেশের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে দু-তিন টাকা পর্যন্ত। তবে খুচরো দাম স্থিতিশীল রয়েছে। খাতুনগঞ্জ বাজারে, বাংলাদেশের দেশীয় ও ভারতের পেঁয়াজেরই দাপট রয়েছে বলেও উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। সেই বাজারে পাকিস্তান, মিশর, মায়ানমার, চিন, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক ও থাইল্যান্ড থেকে আসা পেঁয়াজের পরিমাণ অল্প রয়েছে। বাংলাদেশের পাইকারি বাজারে বিভিন্ন মানের দেশীয় মুড়িকাটা পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। যা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকায় বিকোচ্ছে। কিছু দিন আগেও যদিও ওর দাম ছিল কেজিতে ৩৭ থেকে ৩৯ টাকা। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম সেখানে কেজি প্রতি বেড়েছে। এদিকে, পাকিস্তান, মিসর, মায়ানমার, চীন, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক ও থাইল্যান্ড পেঁয়াজ সর্বনিম্ন ৩৫- ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৬০ টাকার নিচেই বিক্রি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জানা যাচ্ছে, সদ্য ৫ জানুয়ারি পেঁয়াদের রপ্তানিমূল্য কমিয়েছে ভারত। আগে প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য ছিল ৪০৫ মার্কিন ডলার, এরপর তা ১০০ ডলার কমিয়ে এখন তা প্রতি টনে ৩০৫ মার্কিন ডলারে নামিয়ে এনেছে এদেশ। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ফের ভারত থেকেই পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছেন বলে রিপোর্টের দাবি। সঙ্গে বাংলাদেশের বাজারে রয়েছে সেদেশের মুড়িকাটা পেঁয়াজ।