কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিগত প্রায় এক বছর ধরে প্রতিবাদ চলছে দিল্লি সীমানায়। এই আবহে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিনটি কৃষি সংস্কার আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, কৃষকদের একটি অংশকে তাঁর সরকার কৃষি আইনের সুবিধার বিষয়ে বোঝাতে অক্ষম হয়েছে। এই যুগান্তকারী দিনেও কৃষক নেতা রাকেশ তিকাইত জানান যে এখনই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে না। তাঁর দাবি, তাঁদের সব দাবি এখনও মানা হয়নি। মোদীর আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার দিন আরও একবার কৃষকদের সকল দাবি দেখে নেওয়া যাক:
তিনটি আইনই বাতিল - হাজার হাজার কৃষক গত বছরের ২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লির বেশ কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্টে শিবির বসিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে। , আন্দোকারীদের বেশিরভাগই পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশের। তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এই আন্দোন শুরু হয়। যেই তিন আইনের বিরোধিতায় আন্দোলন - ফার্মারস প্রডিউস ট্রেড অ্যান্ড কমার্স (প্রোমোশন অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেশন) আইন, ২০২০; ফার্মারস এম্পাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড প্রোটেকশন (মূল্য নিশ্চয়তা এবং কৃষি পরিষেবা আইন ২০২০ এবং প্রয়োজনীয় পণ্য (সংশোধন) আইন, ২০২০।
ন্যূনতম সমর্থন মূল্য - কৃষকদের দ্বিতীয় দাবি হল উপযুক্ত মূল্যে ফসল সংগ্রহ নিশ্চিত করতে ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের (এমএসপি) নিশ্চয়তা। কৃষকরাও এমএসপি এবং প্রচলিত খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার জন্য একটি বিল আকারে লিখিত আশ্বাসের দাবি করেন। কৃষক সংগঠনগুলি দাবি জানায়, এপিএমসি বা মাণ্ডি ব্যবস্থা যাতে সুরক্ষিত থাকে।
বিদ্যুৎ (সংশোধনী) বিল ২০২০ প্রত্যাহার - কৃষকদের তৃতীয় দাবি হল বিদ্যুৎ (সংশোধনী) বিল প্রত্যাহার করা, কারণ তাঁরা মনে করেন যে এর ফলে তাঁরা বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পাবেন না।
খড় পোড়ানোর ক্ষেত্রে শাস্তি প্রত্যাহার করতে হবে - চতুর্থ দাবি, খড় পোড়ানোর জন্য জরিমানা ও জেলের মেয়াদ রাখা যাবে না।
স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মেনে নেওয়া - কৃষকরা স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে এমএসপি দাবি করে। স্বামীনাথন কমিশনের রিপোর্টে বলা হয় যে সরকারকে উৎপাদনের ওজনযুক্ত গড় খরচের থেকে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বেশি এমএমপি বাড়াতে হবে। এটি C2+50% সূত্র নামেও পরিচিত।