হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে উত্তরাখণ্ডের গারওয়ালে অবস্থিত কেদারনাথ ও যমুনোত্রীর পবিত্র পথ বন্ধ হল। শীতে বরফপাত ইতমধ্যেই উত্তরাখণ্ডে শুরু হয়েছে। বদ্রীনাথ কেদারনাথ মন্দির কমিটি জানিয়েছে, মন্দিরের দরজা দর্শনার্থীদের জন্য সকাল সাড়ে ৮ টায় বন্ধ হয়েছে। তার আগে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ ও বিশেষ পুজোপাঠ সম্পন্ন করা হয়।
এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে মন্দির কমিটির প্রেসিডেন্ট অজেন্দ্র অজয়, তীর্থের পুরোহিত, রুদ্রপ্রয়াগ জেলা প্রশাসনের তরফেও আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ভারতীয় সেনার অষ্টম মারাঠা রেজিমেন্ট এক বিশেষ সুরধ্বনি বাজিয়ে মন্দির চত্বরের ভক্তিসঙ্গীতের আমেজ তৈরি করে। এমন দিনে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বহু দর্শনার্থী। উল্লেখ্য, করোনার জেরে গত ২ বছরে এই তীর্থযাত্রায় একাধিক বিধি পালিত হয়। ফলে দর্শনার্থীদের ঢলের চেলা পুরনো চেহারা দেখা যায়নি। সেই জায়গা থেকে এই বছরে কেদারনাথের রাস্তা খুলতেই বহু ভক্তের সমাগম হয়। এদিকে আজও একই ছবি দেখা যায়। কয়েক হাজার ভক্তের ভিড়ে এই বছর কেদারনাথের পুজো ঘিরে ছিল উৎসবের রঙ।
জেল থেকে মুক্তির ১ বছর পর 'স্যামসং'র চেয়ারম্যান পদে জে ওয়াই লি
জানা গিয়েছে, এই বছরের চারধাম যাত্রায় ৪৩ লাখ ভক্তের সমাগম হয়। শুধুমাত্র কেদারনাথেই ১৫,৬১,৮৮২ ভক্তের সমাগম হয়। এদিকে, কেদারনাথের মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে যে, পোর্টালগুলি ভোর ৩ টে নাগাদ খোলা হয়। আর মন্দিরের দরজা বন্ধের যে প্রক্রিয়া তা শুরু হয় ভোর ৪ টে নাগাদ। জানা গিয়েছে, প্রথা মেনে জ্যোতির্লিঙ্গকে ঢাকা দেওয়ার পরই মন্দিরের মূল দরজা বন্ধ হয়েছে। এই প্রক্রিয়া শুরু করেন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত। এরপর পঞ্চমুখী ডোলি যাত্রা শুরু করে উক্ষীমঠের দিকে। এই ডোলি দেবাদিদেব মহাদেবের। সেটি যাত্রা করল ওমকারেশ্বর মন্দিরের দিকে। শুকনো ফুল, ভশ্ম ও ভৃঙ্গরাজ ফুল দিয়ে সাজানো হয় ওই ডোলি।