'বিহারে ১৯ শতাংশ জনগণ মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের কোনও নেতা নেই।' নীতীশগড়ে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের মধ্যেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম)-এর প্রধান তথা হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগেই বিহারে মুসলিম নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। আসন্ন নির্বাচনে বিহারে মিম-এর মাটি শক্ত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
আরও পড়ুন-'আরও খারাপ খবরের জন্য...,' অধিনায়কত্ব বদলে চর্চা, রোহিতকে ইঙ্গিতবাহী বার্তা গাভাস্কারের
২০২০-র বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে সীমাঞ্চল অঞ্চলে ৫ টি আসনে জিতেছিল মিম। কিন্তু পরবর্তীকালে পাঁচজনের মধ্যে চারজন বিধায়কই আরজেডিতে চলে যান। এর আগে আরজেডির সঙ্গে জোট করার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও লালুপ্রসাদ যাদবের কাছ থেকে কোনও সদুত্তর না মেলায় বিহার ভোটে সম্ভবত একাই লড়তে চলেছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। গত মাসে নির্বাচনী প্রচারের জন্য বিহারে গিয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনমুখী বিহারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বলেন, 'যাদব, পাসওয়ান, ঠাকুর, প্রতিটি সম্প্রদায়ের নিজস্ব নেতা আছে, কিন্তু বিহারের ১৯ শতাংশ মুসলিমের কোনও নেতা নেই।' তিনি আরও বলেন, দেশে জনসংখ্যা বিবেচনা করে কমপক্ষে ৫০ জন মুসলিম লোকসভা সাংসদ থাকা উচিত। তাঁর প্রশ্ন, 'যদি ৫০ জনেরও বেশি মুসলিম সাংসদ থাকত, তাহলে কী প্রধানমন্ত্রী মোদী ওয়াকফ (সংশোধন) আইন আনতে পারতেন?'
আরও পড়ুন-অপেক্ষার অবসান! বিহার নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা কমিশনের, কবে ভোট ও ফলপ্রকাশ?
এর আগে, বিহারের এক সমাবেশে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে চারজন মিম বিধায়ককে কিনে নেওয়ার অভিযোগ তোলেন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জাতিগণনা অনুযায়ী বিহারের ১৩ কোটি জনসংখ্যার ১৭.৭ শতাংশ মুসলিম।গত সেপ্টেম্বর মাসে বিহারে ভোটের প্রচার করেন ওয়েইসি। সেই সময় তিনি বলেন, মিম কংগ্রেস এবং আরজেডির নেতৃত্বে বিরোধী শিবিরে যোগ দিতে রাজি আছেন। কিন্তু অপরপক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছেন না। এখনও পর্যন্ত বিরোধী জোটে আনুষ্ঠানিক ভাবে নাম লেখাননি ওয়েইসি। ভবিষ্যতে কী যোগ দেবেন? যোগ দিন বা না দিন বিহারে মুসলিম ভোটের একাংশে এবারও মিম ভাগ বসাবে বলেই মনে করছে বিশ্লেষকরা। এদিকে, বিহার ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হওয়ার পরেই কার্যকর হয়েছে নির্বাচনের আচরণবিধি। এর ফলে সরকারের কোনও নতুন ঘোষণা, প্রকল্প উদ্বোধন বা সরকারি অনুষ্ঠান আয়োজনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হবে।