মঙ্গলবার লোকসভায় সাংসদ হিসেবে শপথগ্রহণ করেছেন হায়দরাবাদ থেকে নির্বাচিত এআইএমআইএম সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। আর শপথবাক্য পাঠ করা শেষে তিনি ‘জয় প্যালেস্তাইন’ স্লোগান তুলেছিলেন। তার পরেই তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। ওয়াইসির সদস্যপদ খারিজের দাবি ওঠে। আর তারপরেই সাংসদের দিল্লির বাসভবনে নামের ফলকে কালি লাগানোর অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও, তাঁর বাড়িতে কিছু পোস্টার লাগানো হয়েছে, যাতে লেখা রয়েছে ‘ভারত মাতা কি জয়’। এমন ঘটনায় সাংসদদের নিরপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আসাদউদ্দিন।
আরও পড়ুন: সংসদে ‘জয় প্যালেস্তাইন’ বলার জের! বিরাট বিপাকে পড়তে পারেন আসাদউদ্দিন, জানাল BJP
হায়দরাবাদের সংসদ এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে লেখেন, ‘বৃহস্পতিবার কিছু অজ্ঞাত দুষ্কৃতী আমার বাসভবনের নামের ফলকে কালি লাগিয়ে হামলা করেছে। দিল্লিতে আমার বাড়িকে কতবার যে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে তার হিসাব আমি হারিয়ে ফেলেছি।’ এরপরেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি লেখেন, ‘আমি দিল্লি পুলিশের আধিকারিকদের জিজ্ঞাসা করতে চায় কীভাবে তাদের নাকের কাছে এই সমস্ত ঘটছে। তারা এখন অসহায় হয়ে পড়েছে।’
এদিনের ঘটনার পর সাংসদদের নিরপত্তা নিশ্চিত করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে অনুরোধ করেছেন ওয়েইসি। অমিত শাহকে ট্যাগ করে ওয়াইসি লেখেন, ‘আপনার তত্ত্বাবধানে এসব হচ্ছে। অনুগ্রহ করে আমাদের বলুন সাংসদদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে কি না।’
এদিন যারা এই কাজ করেছে তাদের পালটা হুঁশিয়ারি দিয়ে ওয়াইসি বলেন, তাঁর বাড়িকে লক্ষ্যবস্তু করা গুন্ডাদের তিনি ভয় পান না।সাহস থাকলে দুষ্কৃতীরা যেন তার মুখোমুখি হয়। কালি লাগিয়ে বা পাথর ছুড়ে কেউ যেন পালিয়ে না যায়। এদিনের ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। পরে পুলিশ কর্মীরা নামের ফলক থেকে কালি মুছে দেন। কে বা কারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত তা জানতে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পাঁচজনের একটি দল সাংসদের বাড়ির বাইরে পোস্টার লাগাচ্ছিল। তারা সাংসদের বাড়ির বাইরে ভারতমাতা কি জয় স্লোগান দিচ্ছিল। অন্য একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, একজন দুষ্কৃতী ইজরায়েলপন্থী পোস্টার লাগানোর পর ভারত মাতা কি জয় না বলার জন্য সাংসদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়।