কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তাঁকে জেড প্লাস ক্যাটেগোরির নিরাপত্তা দিতে চেয়েছিল, তবে তা গ্রহণ করেননি এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। এরপর কর্ণাটক হিজাব বিতর্ক তুঙ্গে উঠতেই মুখ খোলেন হায়দরাবাদের এই সাংসদ। এআইএমআইএম-এর প্রতিষ্ঠাতা আসাজউদ্দিন বলেন, যদি মুসকান খানের বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে , তাহলে তাঁর নিজেরও বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। যোগীগড় উত্তরপ্রদেশে এক জনসভায় একথা বলেছেন ওয়াইসি।
এক সভায় সুর চড়িয়ে আসাদউদ্দিন বলেন, 'আপনারা আমায় জিজ্ঞাসা করছেন জেড ক্যাটেগোরির নিরাপত্তা নিয়ে। কারণ আমার জীবন নিয়ে আপাতভাবে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। তবে আমি সংসদে বলে দিয়েছি, ওয়াইসির জেড ক্যাটেগোরির নিরাপত্তার দরকার নেই। যখন মুসকানের মতো একজন মহিলার হেনস্থা হয়, তখন ওয়াইসিকে নিরাপত্তা দিয়ে কী লাভ?' এরপরই সুর চড়িয়ে ওয়াইসি বলেন, 'যদি মুসকানের বিপদের আশঙ্কা থাকে, তাহলে ওয়াইসিরও রয়েছে।' উল্লেখ্য, কর্ণাটক হিসাব বিতর্কে আগেও নিজের সুর চড়িয়ে বক্তব্য রেখেছেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি এর আগে হিজাব পরিহিতা মুসকানের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন।
এক ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যায়, এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি কর্ণাটক হিজাব বিতর্কে পাকিস্তানকেও পাঠ পড়াতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, 'পাকিস্তানকে বলব .. এদিকে দেখোনা, ওদিকেই দেখো..', পাশাপাশি তিনি পাকিস্তানে মালালা ইউসুফজাইর হেনস্থা হওয়ার ঘটনা তুলে ধরে বলেন, পাকিস্তানের উচিত সেদেশে বালুচিস্তান সহ যে সমস্ত বিতর্ক রয়েছে সেদিকে নজর দেওয়া। উল্লেখ্য, কর্ণাটকের মাণ্ড্য এলাকায় এক কলেজে , কয়েকজন গেরুয়া বসন পরিহিত ছাত্র এক হিজাব পরিহিতা ছাত্রীকে দেখে ক্যাম্পাসের ভিতর 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর ওই ছাত্রী তৎক্ষণাৎ পাল্টা 'আল্লা হু আকবর' এর স্লোগান দেন। ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে ওঠে বিতর্ক। বিকমের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী মুসকানকে ঘিরে এরপর চর্চা চলে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেই মুসকানকে নিয়ে বক্তব্য রেখে এদিন যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে সুর চড়ালেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।