দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৭০টির মধ্যে ৪৮টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। ২২টি আসনে জয়ী হয়েছে আপ। তবে কংগ্রেস খাতা খুলতে পারেনি। এদিকে, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মিম। সেখানে দেখা যাচ্ছে ওই দুটি আসনে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে মিম। দিল্লি বিধানসভার এই দুটি আসন হল ওখলা এবং মুস্তাফাবাদ।
আরও পড়ুন: দিল্লি নির্বাচনের আগে দল বদলেছিলেন ২৪ জন, জিতলেন ক'জন?
এবার বিধানসভা নির্বাচনে ওখলা থেকে মিম প্রার্থী হয়েছিলেন শিফা উর রহমান খান এবং মুস্তাফাবাদ থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন তাহির হুসেন। আসন দুটিতে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন যথাক্রমে আরিবা খান এবং আলি মেহেদী। তাঁদের থেকে ভালো ফল করেছেন দুই মিম প্রার্থী। এই দুটি আসনে কংগ্রেস চতুর্থ স্থানে চলে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ওয়াইসির নেতৃত্বাধীন দলের এই দুই প্রার্থীই ২০২০ সালের দিল্লি দাঙ্গা মামলায় অভিযুক্ত। বর্তমানে জেলে বন্দি রয়েছেন। শিফা উর রহমান খান এবং তাহির হুসেন ভোটে প্রচারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছিলেন। এই সময় তাঁরা ওয়াইসি-সহ মিম নেতাদের সঙ্গে ওখলায় বেশ কয়েকটি রোড শো করেছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ওখলা কেন্দ্রে আম আদমি পার্টির (আপ) প্রার্থী আমানতুল্লাহ খান ২৩,৬৩৯ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। সেখানে বিজেপি প্রার্থী মণীশ চৌধুরী ৬৫,৩০৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। আর ৩৯,৫৫৮টি ভোট পেয়ে শিফা উর রহমান তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
এদিকে, মুস্তাফাবাদে বিজেপির মোহন সিং বিস্ত ৮৫,২১৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। আপ প্রার্থী আদিল আহমেদ খান ১৭,৫৭৮ ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছেন। সেখানে মিমের তাহির হুসেন ৩৩,৪৭৪ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। অন্যদিকে, সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী আলি মেহেদি তিনভাগ কম ভোট পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে ভোটের ফলাফল নিয়ে কংগ্রেস সংসদ রাহুল প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, যে তাঁর দল দিল্লির ভোটারদের রায় মাথা নত করে গ্রহণ করেছে। রাজ্যের সমস্ত কংগ্রেস কর্মীদের নিষ্ঠার জন্য এবং ভোটারদের তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তবে দিল্লির অগ্রগতি এবং দিল্লিবাসীর অধিকারের জন্য এই লড়াই, দূষণ, মুদ্রাস্ফীতি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অব্যাহত থাকবে বলে রাহুল জানিয়েছেন।