শক্তিক্ষয় করলেও ঘূর্ণিঝড় অশনি নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না কেউই। অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা সরকার এনিয়ে বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছে। আর তার জেরেই মঙ্গলবার একাধিক বিমানকে আগাম বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশগামী অধিকাংশ বিমানকে বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু কেন বিমান বাতিলের এই সিদ্ধান্ত?
সূত্রের খবর, আবহাওয়ার পূর্বাভাসের দিকে খেয়াল রাখছে বিমান সংস্থাগুলি। বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে অশনি। সেকারণেই বিমান বাতিলের সিদ্ধান্ত বিমান সংস্থার। বিমান সংস্থা এয়ার এশিয়া অন্ধ্রপ্রদেশের ভাইজ্যাকগামী চারটি বিমান বাতিল করেছে।চেন্নাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ১০টি বিমান বাতিল করেছে।ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স সংস্থা বিশাখাপত্তনমগামী ২৩টি বিমান বাতিল করেছে। এদিকে বিমান সংস্থাগুলি বিমান বাতিলের বিষয়টি যাত্রীদের জানিয়েও দিয়েছে। মূলত যাত্রীদের যাতে সমস্যা না হয় সেকারণেই আগাম জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, অশনির শক্তিক্ষয় হয়েছে। সেক্ষেত্রে বড় বিপদের আশঙ্কা বিশেষ নেই। রেল গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।
এদিকে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাঁড়া থেকে ২৬০ কিমি ও বিশাখাপত্তনম থেকে ৩০০ কিমি দূরে রয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। পুরী থেকেও ৫৭০ কিমি ও ওড়িশার গোপালপুর থেকে ৪৯০ কিমি দূরে রয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। তবে ঝড়ের কারণে যাতে যাত্রীদের বিপাকে পড়তে না হয় সেকারণে আগাম ব্যবস্থা নিয়েছে বিমান সংস্থাগুলি। ঝড় যদি প্রবল হয় তবে বিমান পরিষেবাতে বিঘ্ন ঘটতে পারে। সেকারণেই এই আগাম ব্যবস্থা।