কংগ্রেস বিধায়ক দলের বৈঠকের আগে ভিকট্রি সাইন দেখিয়ে অশোক গেহলট ইঙ্গিত দিলেন, তাঁর সরকারের কোনও পড়ে যাওয়ার নেই। উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের বিদ্রোহের ফলে রাজস্থানে টলমল কংগ্রেস সরকার। যদিও নিজের শক্তি প্রদর্শন করে গেহলট বুঝিয়ে দিলেন যে এত সহজে তিনি হাল ছাড়ছেন না।
২০০ সদস্যের বিধানসভায় এখনও তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে বলেই দাবি গেহলট গোষ্ঠীর। অন্যদিকে সচিন পাইলটের দাবি গেহলট সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন কারণ তাঁর সঙ্গে ৩০ জন বিধায়ক আছেন। কিন্তু এদিনের ফোটো-অপের মাধ্যমে গেহলট বোঝানোর চেষ্টা করলেন যে তাঁর কাছে এখনও ম্যাজিক ফিগার আছে।
তবে ১০৭ জন বিধায়কের উপস্থিতির কথা গেহলট ক্যাম্প বললেও মুখ্যমন্ত্রী নিবাসে সবাই উপস্থিত ছিলেন না। গেহলট শিবিরের দাবি অনেকে রাস্তায় আছে। দফায় দফায় এদিন বৈঠকের শুরু হওয়ার সময় পিছিয়ে যায় আরও বিধায়ক আসবে, এই আশায়।
এই মুহূর্তে রাজস্থানে মোট ১২৫ জন বিধায়কের সমর্থন আছে গেহলট সরকারের প্রতি। এর মধ্যে ১০৭জন কংগ্রেসের, বাকিরা বিএসপি সহ অন্যান্য ছোটো দলের। কিন্তু ৩০ জন যদি সচিনের সঙ্গে থাকেন, তাহলে অঙ্কের বিচারে ১০০-র নিচে চলে যাবে শাসক।
২০১৮ ভোটের পর থেকেই বর্ষীয়ান গেলহট ও তরুণ পাইলটের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই চলছে। হালে পাইলটকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরাতে উঠে পড়ে লেগেছেন গেহলট। অন্যদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী তিনি যোগ্য সম্মান পান নি বলে মনে করেন সচিন।
একটা জোর গুজব রটেছিল যে সচিন পাইলট হয়তো বিজেপিতে যাবেন। কিন্তু সচিনের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী এই সম্ভাবনা উড়িয়েছেন। কংগ্রেসের তরফ থেকে প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন যে সচিন পাইলটের জন্য দরজা খোলা আছে। দলের মধ্যে তিনি কোনও অভিযোগ থাকলে, সেটার কথা বলতে পারেন।
যদি সত্যিই গেহলট মসনদ বাঁচিয়ে ফেলতে পারেন, তাহলে সচিন পাইলটের আগামী পদক্ষেপের দিকে সবার নজর থাকবে।