চূড়ান্ত নাটকের আবহে গতকাল রাতে গেহলট অনুগামী হিসেবে পরিচিত রাজস্থানের ৮২ জন বিধায়ক নিজেদের ইস্তফাপত্র জমা করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ সিপি যোশীর হাতে। আর এরই মাঝে দিল্লিতে দলীয় হাইকমান্ডকে গেহলটের স্পষ্ট বার্তা, ‘বিধায়করা রেগে, আমার এখানে কিছু করার নেই।’ তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ যদি কিছু করতে পারেন, তা তিনি গেহলট।
সূত্রের খবর, গতকাল রাতে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়গের সঙ্গে ফোনে কথা হয় গেহলটের। সেই সময় নাকি গেহলট জানিয়ে দেন, পরিস্থিতি তাঁর নিয়ন্ত্রণে নেই। বিধায়করা রেগে আছেন। এদিকে অজয় মাকেন, মল্লিকার্জুন খড়গেদের রাজস্থানের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। সকল বিধায়কদের ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলে সমস্যা সমাধান করতে মরিয়া কংগ্রেস হাইকমান্ড। এদিকে বিধায়কদের দাবি, অশোক গেহলট কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হলে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকার দাবি জানিয়েছেন গেহলট অনুগামীরা। তাঁদের বক্তব্য সংকটের সময় (সচিন পাইলটের বিদ্রোহ) যে ১০২ জন বিধায়ক দলের পাশে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিতে হবে।
উল্লেখ্য, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে লড়তে চলেছেন অশোক গেহলট। সেক্ষেত্রে তিনি নির্বাচিত হলে দলের ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির আওতায় তাঁকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে। এই আবহে সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে। যদিও সূত্রের খবর, সিচিন পাইলটকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মানতে নারাজ। এই আবহে গতকাবল সন্ধ্যায় গেহলটের বাসভবনে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর আগেই প্রায় 56 জন বিধায়ক রাজ্যের মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়ালের বাড়িতে বৈঠক করেন। পরে বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন।