সাহিত্যিক দয়াপ্রকাশ সিনহার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল বিহার বিজেপি। পদ্মশ্রী থেকে শুরু করে সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারে ভূষিত এই সাহিত্যিকের লেখা 'অশোকা দ্যা গ্রেট' ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে, দয়াপ্রকাশ সিনহার লেখা বইতে সম্রাট অশোকের সঙ্গে অউরাঙ্গজেবের তুলনা। আর তা নিয়েই প্রবল তোলপাড় শুরু হয়েছে বিহারের রাজনীতিতে। এদিকে ওই সাহিত্যিক বিজেপি সদস্য বলে বিভিন্ন মহলে দাবি উঠলেও, সাহিত্যইক দয়াপ্রকাশ সিনহার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে বিহারের বিজেপির প্রধান জানিয়েছেন সাহিত্যিক দয়াপ্রকাশ তাঁদের দলের সদস্য নন।
এর আগে, এই ইস্যুতে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে বিজেপি। কারণ, লেখক দয়াপ্রকাশ সিনহা নিজে বিজেপি সদস্য বলে দাবি করেছেন তাঁর উইকিপিডিয়া পেজ-এ। সেখানে নিজেকে তিনি বিজেপির 'কনভেনার' (আহ্বায়ক) বলে দাবি করেছেন। এদিকে, দয়াপ্রকাশ সিনহার বিরুদ্ধে ইতমধ্যেই সরব হয়েছে বিহারে বিজেপির সহযোগী জেডিইউ। নীতীশ কুমারের দল সোচ্চার কণ্ঠে দাবি তুলেছে, দয়াপ্রকাশ সিনহার সমস্ত পুরস্কার কেড়ে নেওয়া উচিত। এদিকে, বিজেপির আরও এক শরিক এইচএএম পার্টির জিতেন রাম মাঝি একই সুরে দয়াপ্রকাশ সিনহার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাঁর দাবি, সম্রাট অশোক অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধি ছিলেন বলেই এমনভাবে তাঁর ভাবমূর্তি তুলে ধরা হয়েছে।
উল্লেখ্য, 'অশোকা দ্যা গ্রেট' বইটিতে লেখক দয়াপ্রকাশ সিনহা সম্রাট অশোককে 'ক্রুড়' বলে উল্লেখ করেছেন একটি জায়গায়। নেতিবাচক আলোতে সম্রাটকে এই বইতে তুলে ধরা হয়েছে বলে দাবি বহু রাজনৈতিক শিবিরের। এদিকে লেখকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে বিহার বিজেপির রাজ্যসভাপতি ডক্টর সঞ্জয় কুমার জয়সওয়াল জানিয়েছেন, লেখক দয়াপ্রকাশ সিনহা তাঁদের দলের সদস্য নন। লেখকের পার্টির সদস্যপদের বিতর্ক ঘিরে সঞ্জয় কুমার জয়সওয়াল বলেন, 'গোটা তথ্যটিই বেঠিক। কোনও মতেই উনি বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কিত নন।' একই সঙ্গে সঞ্জয় কুমার জয়সওয়াল অভিযোগ করেন সাহিত্যিক সিনহা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ তৈরি করছেন।