পরপর রেল দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে দেশে। কয়েকদিন আগেই ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরে লাইনচ্যুত হয় হাওড়া-মুম্বই মেল। সেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ২ যাত্রীর। এর আগে উত্তরবঙ্গে দুই ট্রেনের সংঘর্ষেও একাধিক যাত্রী এবং রেলকর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। আর স্বভাবতই পরপর এই সব দুর্ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রের ওপর বিরোধীরা চাপ বাড়াবে। আর আজ সংসদে ঠিক সেটাই হয়েছিল। আর বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব উলটে 'রেগে লাল' হলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময়কালের উদাহরণ টেনে এনে পালটা তোপ দাগেন বৈষ্ণব। (আরও পড়ুন: সাইবার হানার জেরে বন্ধ কোন কোন ব্যাঙ্কের UPI পরিষেবা? যা বলছে NCPI...)
আরও পড়ুন: ৩ পড়ুয়ার মৃত্যুর স্মৃতি ম্লান হতে না হতে এবার গাজীপুরে বৃষ্টির বলি মা-ছেলে
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি দিল্লিতে,নতুন সংসদে চুঁইয়ে পড়ছে জল! ভাইরাল সাংসদের পোস্ট করা ভিডিয়ো
আজ সংসদে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়ে বৈষ্ণব বলেন, 'যারা এখানে চিৎকার করছেন তাদের আমি এটা জিজ্ঞাসা করতে চাই, তারা নিজেরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, সেই ৫৮ বছরে কেন তারা অটোমেটিক ট্রেন প্রোটেকশন বসাননি? তারা তো ১ কিলোমিটার পথেও এই এটিপি স্থাপন করতে পারেনি। আজ, তারা প্রশ্ন তোলার সাহস দেখাচ্ছেন! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তিনি দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান দিয়ে বলতেন যে দুর্ঘটনা ০.২৪ থেকে নেমে ০.১৯ হয়েছে। আর তখন এই লোকেরা সংসদে হাততালি দিতেন এবং আজ যখন তা ০.১৯ থেকে ০.০৩-তে নেমে এসেছে, তখন তারা সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন। এভাবে চলবে দেশ? কংগ্রেস তার সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোল আর্মির সাহায্যে মিথ্যা কথা তুলে ধরছে। তারা কি প্রতিদিন রেলে যাত্রা করা ২ কোটি মানুষের মনে ভয় জাগানোর চেষ্টা করছেন?' (আরও পড়ুন: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হিমাচলে মৃত বহু, ধসে একাধিক মৃত্যু উত্তরাখণ্ডেও, আটকে ২০০)
আরও পড়ুন: 'কমলা কি ভারতীয়…', প্রতিপক্ষের জাতিগত সত্ত্বা নিয়ে প্রশ্ন ট্রাম্পের, এল জবাবও
আরও পড়ুন: প্যাংগঙে নয়া সেতু তৈরি করা চিন চাইছে ভারতের সাথে শান্তি আলোচনায় গতি আনতে!
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানির কাছে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সেদিন সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ধাক্কা মেরেছিল মালগাড়ি। তার জেরে মালগাড়ির লোকো পাইলট-সহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর গত ১৮ জুলাই উত্তরপ্রদেশের গোন্দায় অসমগামী ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়.। সেই দুর্ঘটনাতেও একাধিক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। এদিকে গত মঙ্গলবারই ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরের রাজখরসাওয়ান এবং বরাবাম্বুর মধ্যে লাইনচ্যুত হয়ে যায় ১২৮১০ হাওড়া-ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস এক্সপ্রেস। তার জেরে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন।