তাঁর সংস্থা অন্যদের 'ফ্যাক্ট-চেক' করে থাকে। আর সেই ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা এবং মেটার সিইও মার্ক জুকারবার্গকে 'ফ্যাক্ট-চেক' করে দিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কড়া ভাষায় তিনি জানিয়েছেন, কোভিড পরবর্তী ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার হেরে গিয়েছে বলে জুকারবার্গ যে দাবি করেছেন, সেটা পুরোপুরি 'ভুল'। সেইসঙ্গে 'হতাশাপ্রকাশ' করে মেটাকে ট্যাগ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, ‘মিস্টার জুকারবার্গই যে নিজেই ভুল তথ্য দিচ্ছেন, সেটা দেখে অত্যন্ত হতাশ লাগছে। তথ্য এবং বিশ্বাসযোগ্যতা রাখুন।’
আর যে কারণে জুকারবার্গকেই 'ফ্যাক্ট-চেক' করে দিয়েছেন বৈষ্ণব, তা নিয়ে এমনিতেই হইচই চলছিল। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি পডকাস্টে মেটার সিইও এবং চেয়ারম্যান ঘুরিয়ে দাবি করেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ভূমিকা আহামরি ছিল না। তার জেরে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার হেরে গিয়েছে বলে দাবি করেন জুকারবার্গ।
আরও পড়ুন: Nag Mark 2: অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের নতুন সংস্করণ ‘নাগ এমকে ২’, সফল হল পরীক্ষা
‘মিস্টার জুকারবার্গ….’, তোপ বৈষ্ণবের
তাতেই চটে গিয়েছেন বৈষ্ণব। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে ৬৪ কোটির বেশি ভোটারকে নিয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচন সম্পন্ন করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বাধীন এনডিএয়ের উপরে আরও একবার আস্থা রেখেছেন ভারতের মানুষ। কোভিডের পরে ২০২৪ সালের নির্বাচনে ভারত-সহ বিশ্বের অধিকাংশ বিদায়ী সরকার হেরে গিয়েছে বলে মিস্টার জুকারবার্গ যে দাবি করেছেন, তা ভুল।’
২০২৪ সালের জয় সুশাসন ও আস্থার প্রমাণ, দাবি বৈষ্ণবের
সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, '৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য দেওয়া, বিনামূল্যে ২২০ কোটি টিকা প্রদান, কোভিডের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে সহায়তা করা থেকে বিশ্বের বড় অর্থনীতিগুলির মধ্যে ভারতের দ্রুততম বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করা- তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী মোদী যে জয় পেয়েছেন, তা সুশাসন এবং জনগণের আস্থার প্রমাণ।'
দিনকয়েক আগে বড় পদক্ষেপ করেছে মেটা
আর এমন সময় জুকারবার্গকে ‘ফ্যাক্ট-চেক’ করেছেন অশ্বিনী, যখন আমেরিকায় তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্ট-চেকিং কর্মসূচি বন্ধের ঘোষণা করেছে মেটা। জুকারবার্গের সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, তৃতীয় পক্ষের তথ্য যাচাইকারীরা অনেক সময় পক্ষপাতী হয়ে থাকেন। তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে তাঁদের নিজস্ব মতাদর্শ ঢুকে পড়ে। সেই পরিস্থিতিতে তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্ট-চেকিং কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়ে এক্সের ধাঁচে কমিনিউটি নোট যুক্ত করার মডেল চালু করা হচ্ছে। আর যে সিদ্ধান্তের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রত্যক্ষ যোগ আছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।