পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারের মেরামতির কাজ শুরু করল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই)। মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে রত্ন ভাণ্ডার মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। ১৯৭৫ সালে রত্ন ভাণ্ডারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম মেরামতের কাজ শুরু করল এএসআই। এর আগে ৪৬ বছর পর গত ১৪ জুলাই খোলা হয়েছিল রত্ন ভাণ্ডার। তা ঘিরে ব্যাপক কৌতূহল ছিল মানুষের। আর তার ৫ মাস পর শুরু হল মেরামত।
আরও পড়ুন: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অন্দরে কোনও গোপন কুঠুরি-সুরঙ্গ নেই, দাবি আইনমন্ত্রীর
রাজ্য সরকার এএসআইকে নির্দেশ দিয়েছে, খুব ভালোভাবে মেরামত করার জন্য, যা কমপক্ষে পাঁচ দশক পর্যন্ত যেন টিকে থাকে।রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন বলেছেন, আগামী ৫০ বছরের কথা মাথায় রেখে এএসআই রত্না ভাণ্ডারের সমস্ত প্রয়োজনীয় মেরামত সম্পন্ন করবে। কাজ শেষ করতে তিন মাস সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে।
এএসআইয়ের সুপারিনটেনডিং প্রত্নতাত্ত্বিক (পুরী সার্কেল) দিবিশাদা গর্নায়েক বলেন, তাদের প্রাথমিক কাজটি হল রত্নভাণ্ডারের বাইরের এবং ভিতরের উভয় চেম্বার থেকে প্রাচীরের প্লাস্টার সরিয়ে নতুন করে করা।এর আগে হায়দরাবাদের সিএসআইআর-ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে এএসআই রত্ন ভাণ্ডারের সমীক্ষা করেছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মন্দিরের মাঠে কোনও গুপ্ত সুড়ঙ্গ বা ভূগর্ভস্থ কোষাগার নেই।
এএসআই জানিয়েছে, সমীক্ষায় রত্ন ভাণ্ডারের বাইরের এবং ভিতরের কক্ষের সংযোগস্থলে বেশ কিছু ফাটল নজরে এসেছে। এই ফাটলগুলি মেরামতের জন্য পাথর দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হবে। ভিতরের চেম্বারের পাঁচটি ছোট বিম লোহা দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হবে। এছাড়াও, রত্ন ভাণ্ডারের মেঝে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেগুলিও প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন। উভয় চেম্বারে মেরামত করা হবে।
সরকার মেরামতের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর জারি করেছে। এছাড়া, প্রতিদিনের আচার-অনুষ্ঠান এবং দর্শনের ব্যবস্থায় কোনও ব্যাঘাত যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা কাজ করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, মেরামত কাজ শেষ হওয়ার পরে মন্দিরের ভিতরে দুটি অস্থায়ী রত্ন ভাণ্ডারে রাখা গহনা এবং অলঙ্কারগুলির তালিকা প্রস্তুত করা হবে। অলঙ্কারগুলিকে সংস্কার করে পুনরায় রত্ন ভাণ্ডারে স্থানান্তরিত করা হবে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এই কাজ সম্পন্ন হবে।