কলেজিয়ামের সুপারিশ অগ্রাহ্য করে কি সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগে বিলম্ব করে সরকার? এদিন সংসদের উচ্চ কক্ষে এই প্রশ্নই করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে। এর জবাবে আইনমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, ভারত সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগে কখনও বাধা দেয়নি। পাশাপাশি রিজিজু আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়ামের কাছে নারী ও সংখ্যালঘুদের অগ্রাধিকার দেওয়ার সুপারিশ করেছে সরকার।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়ামের বেশ কিছু সুপারিশ আটকে রযেছে কেন্দ্রের অনুমোদন না মেলায়। এদিন বিজু জনতা দলের সংসদ সদস্য প্রসন্ন আচার্য সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রশ্ন করেন। সেই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও নিয়োগের মামলা ঝুলিয়ে রাখেনি। বিচারপতি নিয়োগের সময় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। কারণ তিনি আদালতে বিচারপতি হওয়ার জন্য উপযুক্ত কিনা তা আমাদের নিশ্চিত করতে হয়।’
আইনমন্ত্রী এদিন আরও যোগ করেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি সুপ্রিম কোর্ট এবং হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিদের নেতৃত্বে গঠিত কলেজিয়ামকে বলেছি যাতে বিচারকদের নাম সুপারিশ করার সময়, নারী, অনগ্রসর শ্রেণী, তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।’
পরে বিজেডি সাংসদ আচার্যের সাপ্লিমেন্টারি প্রশ্নের জবাবে রিজিজু বলেন, ‘আমরা খুব খুশি যে সুপ্রিম কোর্টে ৩৪ জন বিচারপতির মধ্যে আমাদের প্রথমবারের মতো চারজন মহিলা বিচারপতি রয়েছেন।’ তাছাড়া আইনমন্ত্রী গর্ব করে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের চারজন নারী বিচারপতির মধ্যে তিনজন তিনি দায়িত্বে থাকাকালে নিয়োগ পেয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের উচ্চ আদালতগুলির ১০৯৮ জন বিচারপতির মধ্যে ৮৩ জন নারী।’