বিশ্বকল্যাণ পুরকায়স্থ
মাসখানেক আগে পাঁচজন অপ্রাপ্তবয়স্ক রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল অসমে। শিলচরের একটি অবজার্ভেশন সেন্টারে রাখা হয়েছিল তাদের। সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছে তারা। পুলিশ ইতিমধ্যেই এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর গত ১ জুলাই এই ঘটনা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৯ মে মাঝরাতে ২৬জন রোহিঙ্গাকে পুলিশ আটক করে। তারা কাশ্মীর থেকে আসছিল। সেই দলে এই নাবালকরাও ছিল। এরপর প্রাপ্তবয়স্কদের শিলচরে ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়। নাবালকদের অবজার্ভেশন হোমে রাখা হয়। এনআইএর টিমও ধৃতদের সঙ্গে কথা বলেছিল।
হোম সূত্রে খবর, বন্যার জন্য হোমের বেশিরভাগ অংশ জলের তলায় চলে যায়। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে তারা। জল পেরিয়ে পাঁচিল টপকে চলে গিয়েছে তারা। হোমের সুপার এফআইআরে জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে সাতজন পালিয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে পাঁচজন রোহিঙ্গা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পলাতকদের মধ্যে দুজন কাছারের বাসিন্দা। বাকিরা কাশ্মীরে থাকত।কাছারের পুলিশ সুপার রমণদীপ কাউর জানিয়েছেন, আমরা তদন্ত চালাচ্ছি।কীভাবে তারা হোম থেকে পালিয়ে গেল সেটাও দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি তারা কোথায় গিয়েছে তা খোঁজ করে দেখা হচ্ছে। এরপর তাদের আটক করা হবে।
প্রসঙ্গত বরাক উপত্যকা থেতে বহু বাংলাদেশি ও মায়ানমারের নাগরিককে মাঝেমধ্যেই আটক করা হয়।