অসম ও মেঘালয়ের মধ্যে যে এলাকা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, সংঘাতের নানান ছবি যেখানে থেকে আগেও উঠে এসেছে, এবার সেখানেই ৫ জনের হত্যার ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, ওই বিতর্কিত এলাকা থেকে ফিরছিলেন কয়েকজন কাঠ সংগ্রহকারী। সেই সময়ই তাঁদের অসমের ফরেস্ট গার্ডরা গুলি করে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে ওই অধিবাসীরা মেঘালয়ের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, প্রথমে ওই কাঠ সংগ্রকারীদের গাড়িতে গুলি করেন অসমের ফরেস্ট গার্ডরা। এরপর গাড়ি থামেনি। অন্যদিকে, গার্ডদের সংখ্যা ছিল কম। অন্যদিকে তাঁদের দিকে স্থানীয় অনেকেই ঘিরে ধরতে আসছিলেন বলে অভিযোগ। তখনই গার্ডরা গুলি চালান বলে জানা যাচ্ছে। ততক্ষণে স্থানীয় গ্রামেও খবর চলে গেছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, প্রথমে ঘটনাস্থলেই মারা যান ৪ জন। বাকি একজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান।
যাতে এই গুলি চালনার ঘটনা ঘিরে কোনও রকমের উত্তেজনা না ছড়ায়, তার জন্য অসম মেঘালয় সীমান্তের ওই বিতর্কিত এলাকার দুটি দিকেরই মোবাইল ইন্টারনেট রুদ্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ওই বিতর্কিত এলাকা নিয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দুটি রাজ্যের ১২ টি সীমান্ত সংঘাতমূলক জায়গা থাকলেও, ৬ টি নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরতি হয়। ৫ দশক পুরনো ওই সংঘাতে সমাধান চেয়েই ছিল ওই দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের পদক্ষেপ। এদিকে, মেঘালয়ে এই সময়কালে একাধিক ফেস্টিভাল থাকে। এমন গুলি চালনার ঘটনার জেরে মেঘালয়ের বিখ্যাত চেরিব্লসম ফেস্টিভাল বাতিল করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুটি রাজ্যের সীমান্তের ৮৮৪.০ কিলেমিটার জায়গা সংঘাত বহুল। দুটি রাজ্যেরই ওই এলাকার ওপল দাবি দাওয়া নিয়ে রয়েছে মত বিরোধ। এই সমস্যা গত ৫ দশকের। তা সমাধান করতে চলতি বছরেই উদ্যোগ নেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় উদ্যোগে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হতেই অমিত শাহ, বলেছিলেন সমস্যার ৭০ শতাংশ সমাধান হচ্ছে। তবে তারপরও বছরের শেষের দিকে এই গুলি চালনার ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে। এর আগে অগস্ট মাসে বিতর্কিত এলাকা নিয়ে ফের আলোচনায় বসেছিলেন কনরাড সাংমা ও হিমন্ত বিশ্বশর্মা।