বাংলার মতোই বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদলের হিড়িক শুরু হয়েছে অসমের রাজনৈতিক ময়দানে। এই খেলায় তৎপর শাসক ও বিরোধী উভয় গোষ্ঠীই।
মঙ্গলবার পদত্যাগ করলেন বাজালি জেলার পাতাচারকুচি কেন্দ্রের তিন বারের জয়ী অসম গণ পরিষদ দলের বিধায়ক পবীন্দ্র ডেকা। দলীয় সভাপতি অতুল বোরার কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
অগপ-র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ৬৯ বছর বয়েসি ডেকা জানিয়েছেন, ‘অসমের ভূমিপুত্রদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন ও তাঁদের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থতার কারণে আমি অগপ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। দল এখন বিজেপি-র নির্দেশে চলছে। সংশোধিত নাগরিক আইনের (সিএএ) বিরোধিতা করতেও ব্যর্থ দল। ওই আইনে বাংলাদেশ থেকে আসা অসমের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৬ বছর আন্দোলনের শেষে অসম অ্যাকর্ড স্বাক্ষরের পরে ১৯৮৫ সালে গঠন করা হয় অসম গণ পরিষদ। ওই বছর বিধানসভা নির্বাচনে ৯২শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় আসে অগপ। পরে ২০০১ ও ২০১৬ সালেও অগপ বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন ডেকা।
বর্তমানে শাসন ক্ষমতায় থাকা বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যতম শরিক অগপ-র ১২৬ আসন বিশিষ্ট অসম বিধানসভায় ১৪ জন বিধায়ক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিন জন রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য।
শোনা যাচ্ছে, অগপ ছেড়ে এবার অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আসু) এবং অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদের (এজেওয়াইসিপি) যৌথ রাজনৈতিক মঞ্চ অসম জাতীয় পরিষদে যোগ দিতে চলেছেন ডেকা।
তিনি ছাড়া আরও চার-পাঁচ জন অগপ বিধায়কও আগামী কয়েক সপ্তাহে দল ছেড়ে অন্যত্র যোগ দিতে পারেন।
মঙ্গলবারই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন বিধায়ক রোজেলিনা তিরকে। ২০১৬ সালে গোলাঘাট জেলার সরুপাথর কেন্দ্র থেকে তিনি বিধায়ক নির্বাচিত হন।
এ ছাড়া আরও কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়কও আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দল ছাড়তে পারেন বলে সূত্রে খবর। বিধানসভায় কংগ্রেসের দখলে রেয়েছে ২২টি আসন।