ফের একবার গো-ভক্ষণ বিরোধী আইনের পক্ষ নিয়ে কথা বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এবার তিনি দাবি করলেন, তাঁর সরকারের আনা এই আইনের ফলে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ কমবে। তিনি মহাত্মা গান্ধীকে এই আইনের ঢাল করে বলেন, 'আমাদের গোরক্ষা বিল আদতে কংগ্রেস সরকারের ১৯৫০-এর বিলের আধুনিকিকরণ। এই বিল ৪৮ নম্বর ধারা এবং মহাত্মা গান্ধীর চিন্তাধারার ফল।'
অসমে গোরক্ষা বিল পাশ হতেই এখন থেকে কোনও হিন্দু, জৈন বা শিখ মন্দিরের ৫ কিলোমিটার পরিধিতে গোমাংস খাওয়া নিষিদ্ধ হল। পাশাপাশি অসমের যেই এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাস বেশি, সেখানেও এখন থেকে গোমাংস খাওয়া যাবে না। তাছাড়া এখন থেকে যদি কৃষি কাজের স্বার্থেও গরু এক জেলা থেকে অন্য জেলায় নিয়ে যেতে হয় তবে প্রশাসনের অনুমতি লাগবে।
এই বিষয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, 'আমাদের উচিত গান্ধীজি এবং ৪৮ নম্বর ধারা অনুসরণ করে নিজেদের খাদ্যাভ্যাস ঠিক করা। তবে মৌলিক অধিকার এবং নির্দেশমূলক নীতির সংঘাত দেখা দিলে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী নির্দেশমূলক নীতিকে মানা হবে বা প্রাধান্য দেওয়া হবে।'
হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, 'বিগত পাঁচ বছর বা তার আগেও যে সব সাম্প্রদায়িক সংঘাত বেঁধেছে তার মূলে রয়েছে গোমাংস। এবার যদি একজন মানুষ যে গোমাংস খায়, তাকে যদি গোমাংস খায় না এমন সম্প্রদায়ের বাসের জায়াগায় গোমাংস খাওয়া থেকে বিরত রাখা হয়, তাহলে কোনও সংঘাতই হবে না।' এরপর হিমন্ত আরও বলেন, 'উত্তরপ্রদেশে তো গোমাংসের উপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এদিকে অসমে ৩৬ শতাংশ মানুষ গোমাংস খায়। তাই এখানে গোমাংস বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে মাত্র।'