অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বুধবার ঘোষণা করেছেন যে তাঁর সরকার রেস্তোরাঁ, হোটেল এবং পাবলিক প্লেসে গরুর মাংস পরিবেশন এবং খাওয়া নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিক বৈঠকে এনিয়ে ঘোষণা করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, 'আমরা রেস্তোরাঁ, হোটেল এবং পাবলিক প্লেসে গরুর মাংস পরিবেশন ও খাওয়া নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, গরুর মাংস খাওয়ার বর্তমান আইন কঠোর, তবে রেস্তোরাঁ, হোটেল এবং ধর্মীয় বা সামাজিক জমায়েতে গরুর মাংস খাওয়ার উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।
'তবে অসমে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে কোনও রেস্তোঁরা বা হোটেলে গরুর মাংস পরিবেশন করা যাবে না এবং এটি কোনও পাবলিক ফাংশন বা পাবলিক প্লেসে পরিবেশন করা হবে না। তাই আজ থেকে আমরা হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং পাবলিক প্লেসে গরুর মাংস খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগে আমরা মন্দিরের কাছে গরুর মাংস খাওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তবে এখন আমরা এটি পুরো রাজ্যে প্রসারিত করেছি যে আপনি কোনও সম্প্রদায়ের জায়গা, পাবলিক প্লেস, হোটেল বা রেস্তোঁরায় এটি খেতে পারবেন না।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছিলেন, গুয়াহাটির লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ বিমানবন্দরকে শহরের সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তাটি চার লেন থেকে ছয় লেনে প্রশস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ৭ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ঘটবে, যখন কয়েকজন নতুন মন্ত্রী শপথ নেবেন।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, তাঁর সরকার ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে গুয়াহাটি থেকে মেঘালয় হয়ে শিলচর পর্যন্ত একটি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।
এদিকে, অসমের মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা বলেছেন, কংগ্রেসের হয় গরুর মাংস নিষিদ্ধকে স্বাগত জানানো উচিত অথবা পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত।
তিনি লেখেন, 'আমি অসম কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ করছি, গোমাংস নিষিদ্ধ হোক, নয়তো পাকিস্তানে গিয়ে বসতি স্থাপন করুক।
পিটিআই, এএনআই সূত্রে খবর
উৎপল পরাশর
এদিকে হিমন্ত বিশ্বশর্মা আরও জানিয়েছেন যে কংগ্রেস এমপি রাকিবুল হোসেন ও পার্টির স্টেট ইউনিট প্রধান ভূপেন বোরাহ সম্প্রতি এনিয়ে মন্তব্য করেছিলেন।
এদিকে রাকিবুল হুসেন সম্প্রতি বলেছিলেন, মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় বিফের প্রলোভন দেখিয়ে বিজেপি জিতেছে। এবার অসমের মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, বোরাহ ও হুসেনের মন্তব্য নিয়েও আলোচনা হয়েছে। রাজ্যের গো মাংস কাটা, বেআইনি খাওয়া নিয়ে কড়া আইন থাকলেও কমিউনিটি ইভেন্টে, হোটেলে, রেস্তরাঁতে এনিয়ে কড়াকড়ি ছিল না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অসমের হোটেল, রেস্তরাঁ, কমিউনিটি জমায়েতে গো মাংস পরিবেশন করা যাবে না।