বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > রচনা লিখে গিনেস বুকে নাম তুলল অসম, বিশদে জানুন, আপনিও কি পাঠিয়েছিলেন?

রচনা লিখে গিনেস বুকে নাম তুলল অসম, বিশদে জানুন, আপনিও কি পাঠিয়েছিলেন?

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার হাতে এই পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়(Twitter | Himanta Biswa Sarma) (HT_PRINT)

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার হাতে এই পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়। একাধিক মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। অসমের মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, আমরা সব মিলিয়ে ৫.৭ মিলিয়ন রচনা আমাদের পোর্টালে এসেছিল। কিন্তু কেবলমাত্র হাতে লেখা প্রবন্ধগুলিই গণ্য করা হয়েছে। এটা অসমের মানুষের কাছে অত্যন্ত গর্বের।

উৎপল পরাশর

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম উঠল অসমের। বৃহস্পতিবার এই বিশ্বরেকর্ডের শিরোপা পেয়েছে অসম। কারণ প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব লাচিত বারফুকনের ৪০০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রায় ৪.৩ মিলিয়ন রচনা জমা পড়েছে। এতটাই সাড়া পড়েছিল সরকারের বছরভর এই অনুষ্ঠানে। 

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার হাতে এই পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়। একাধিক মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। অসমের মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, আমরা সব মিলিয়ে ৫.৭ মিলিয়ন রচনা আমাদের পোর্টালে এসেছিল। কিন্তু কেবলমাত্র হাতে লেখা প্রবন্ধগুলিই গণ্য করা হয়েছে। এটা অসমের মানুষের কাছে অত্যন্ত গর্বের। 

২৬ অক্টোবর থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত এই প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। পড়ুয়া,সরকারি আধিকারিক, অসম, অসমের বাইরে থেকেও অনেকেই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। 

মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, অসমের অনেকেই বলেন, রাজ্য়ের বাইরে লাচিতের সেভাবে মর্যাদা নেই। তবে দিল্লিতে যখন আমরা ৪০০ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছিলাম তখন আমাদের অনেকেই বলেছিলেন আগে কেন তাঁর সম্পর্কে বলেননি। 

মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক অভিনব বিষয় রয়েছে। সেগুলি আমাদের গোটা বিশ্বকে বলতে হবে।  অহম রাজাদের সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেতে আমাদের ৭৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। 

এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন,  ১৪ এপ্রিল অসম সরকার অপর একটি বিশ্বরেকর্ড করার দিকে এগোচ্ছে। সেখানে ১১ হাজার শিল্পী গুয়াহাটির একটি স্টেডিয়ামে বিহু নাচ পরিবেশন করবেন। বারগুম্বা নাচের ক্ষেত্রে আমরা তেমনই উদ্য়োগ নেব। সেই সময় ৫০ হাজার খোদ বাজানো হবে। গিনেস বিশ্বরেকর্ডের প্রতিনিধি স্বপ্নিল ডাংগারিকর জানিয়েছেন, কেবলমাত্র যেগুলি গণনা করা যায় সেগুলিই রেকর্ডের আওতায় আসে। কিন্তু সাহসিকতাতে সংখ্য়া দিয়ে মাপা যায় না। 

তিনি জানিয়েছেন, অসম সরকারের এটা একটা বড় উদ্য়োগ। হাতে লেখা এই অ্যালবাম। এই রেকর্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে গিনেস সংস্থাও অত্যন্ত খুশি। সব মিলিয়ে ৪, ২৯৪,৩৫০ ফটো সংযুক্ত করা হয়েছে। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন