করোনাভাইরাস রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে। তাই এই সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে কার্ফুর মেয়াদ বাড়াল অসম সরকার। অসমের শহরতলি ও গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতে আগামী ৫ জুন পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকবে বলে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় সরকারি–বেসরকারি অফিস যা এখন বন্ধ আছে তা এখনও বন্ধ থাকবে ৫ জুন পর্যন্ত। একইসঙ্গে কার্ফুর নিয়ম ও সময়সীমাতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। সন্ধ্যে ছটার বদলে এবার থেকে দুপুর দুটো থেকেই জারি হবে কার্ফু। রাত পর্যন্ত চলবে।
এই কার্ফুর বিষয়ে অসমের মুখ্যসচিব জিষ্ণু বড়ুয়া বলেন, ‘এটা লক্ষ্য করা গিয়েছে যে কন্টেইনমেন্ট ব্যবস্থা খুব উপযোগী হয়ে উঠেছে। তাই শহর–শহরতলিতে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, দোকান এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান দুপুর ১টার সময় বন্ধ করে দিতে হবে। আর জনগণের ক্ষেত্রে দুপুর ২টো থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বাইরে বেরনো বন্ধ করা হচ্ছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৭৮৪ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৫৬ জনের। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী ৫ জুন পর্যন্ত শহরতলিতে সমস্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ, ধাবা, সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলি দুপুর একটার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই নির্দেশিকা জারি করা হলেও হোম ডেলিভারি চালু রাখা হয়েছে। আবার কোল্ড স্টোরেজ এবং ওয়্যার হাউজ দুপুর ১টার পর খোলা থাকবে। যানবাহন চলাচল করার ক্ষেত্রেও প্রত্যেকদিন দুপুর ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জোর–বিজোড় নীতিতে গাড়ি চলবে। জরুরি পরিষেবা খোলা থাকলেও শিক্ষা–প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধই থাকবে। এছাড়া বিবাহ, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং শেষকৃত্যের কাজে সর্বোচ্চ ১০ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন। সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ১৫ দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। গণপরিবহনে ৩০ শতাংশ মানুষ নিয়ে চালাতে হবে। তবে এখানে মহিলা এবং শিশু বাদ থাকবে।