বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে, অসমে পশুদের যাতায়াতের পথ জবরদখল মুক্ত হল না এখনও

সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে, অসমে পশুদের যাতায়াতের পথ জবরদখল মুক্ত হল না এখনও

অসমে অ্যানিমাল করিডর থেকে জবরদখল সরানো যায়নি এখনও। প্রতীকী ছবি (ANI Photo) (ANI )

গত বছর ৩রা নভেম্বর এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অসম সরকারকে। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও দেখা যাচ্ছে এখনও করিডরের বিভিন্ন এলাকায় ধাবা ও রেঁস্তরা থেকে গিয়েছে।

অসমের কাজিরাঙা ন্যাশানাল পার্ক ও টাইগার রিজার্ভের সঙ্গে সংযুক্ত ৯টি অ্যানিমাল করিডর থেকে রিসর্ট ও ধাবাগুলিকে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের সেন্ট্রাল এমপাওরার্ড কমিটি। এদিকে এনিয়ে মাস তিনেক সময় চেয়েছিল অসম সরকার। গত বছর ৩রা নভেম্বর এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অসম সরকারকে। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও দেখা যাচ্ছে এখনও করিডরের বিভিন্ন এলাকায় ধাবা ও রেঁস্তরা থেকে গিয়েছে। 

এনিয়ে নওগাঁর কালিয়াবরের সার্কেল অফিসার পার্থপ্রতীম বর্মন জানিয়েছেন, অ্যানিমাল করিডরে যাতে নতুন করে দখলদারি না হয় ও য়ে সমস্ত নির্মাণ চলছিল তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এবার যদি নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তবে সেটাই করা হবে। এদিকে ৯টি অ্য়ানিমাল করিডরের মধ্যে ৭টি নওগাঁওতে রয়েছে। বাকি ২টি গোলাঘাট জেলায় রয়েছে। গোলাঘাট জেলার বোকাখাটের সার্কেল অফিসার সৌভিক দত্ত জানিয়েছেন, গত নভেম্বর মাসে আমরা একটি রিসর্টের সীমানা প্রাচীর ভেঙে দিয়েছিলাম যেটি অ্য়ানিমাল করিডরের মধ্যে পড়েছিল। অন্যান্যদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসেই সুপ্রিম কোর্টের তরফে সমস্ত অ্যানিমাল করিডরে নির্মাণ করার বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। রোহিত চৌধুরী নামক একজন পরিবেশপ্রেমী এনিয়ে নালিশ জানিয়েছিলেন। অ্যানিমাল করিডরে নির্মাণকাজ গড়ে ওঠার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। এরপর পরিদর্শনে দেখা যায় মন্দির, দোকান, ধাবা, হোটেল, রেঁস্তরা, এমনকী সরকারি ভবনও ওই করিডরে গড়ে উঠেছে। 

 

বন্ধ করুন