রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় কমেছে বৃষ্টির দাপট। তা সত্ত্বেও ক্রমশ সঙ্গীন হচ্ছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি। এরইমধ্যে বন্যায় মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের।
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার জলে ডুবে গোয়ালপাড়া জেলার লক্ষ্মীপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে চলতি বছরের বন্যায় অসমে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই।
একইসঙ্গে বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। ন'টি জেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। সবথেকে খারাপ অবস্থা গোয়ালপাড়ায়। শুধুমাত্র সেই জেলায় বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা দু'লাখের কাছে। এছাড়াও ধেমাজি, নওগাঁ, হজোই, দরা, নলবাড়ি, পশ্চিম কার্বি আংলং, ডিব্রুগড় এবং তিনসুকিয়ায় বন্যার প্রভাব পড়েছে।
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্যার কবলে পড়েছেন ১৫ টি রাজস্ব সার্কেলের ৩০০ টি গ্রামের ২৯৪,৭১০ জন মানুষ। জলের তোড়ে ভেসে যাওয়া প্রায় ১৬,০০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। চারটি জেলার ৯০ টি ত্রাণ শিবিরে তাঁদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। নৌকার সাহায্যে প্রায় ৫০০ জনকে উদ্ধার করে সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বন্যার জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২১,৫৭২ হেক্টর জমির শস্য।
বৃষ্টির জেরে জোরহাট জেলার নেমতিঘাটে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রক্ষপুত্র। নওগাঁ জেলার কামপুরে লাল সীমা পার করেছে কোপিলি। বন্যার জল এবং বৃষ্টির দাপটে বন্যা প্রভাবিত জেলাগুলির একাধিক রাস্তা, সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একাধিক জায়গায় ধসও নেমেছে।