একসপ্তাহে ১১ জন চা–শ্রমিকের মৃত্যু। মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। অসম রাজ্যের টিনসুকিয়া জেলার চা–এস্টেটের ১১ জন চা–শ্রমিক এক সপ্তাহে মারা গিয়েছেন। আর এই মর্মান্তিক মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে ডায়রিয়া। এই ঘটনার পর সহকর্মীরা জানান, অস্বাস্থ্যকর পানীয় জল পান করেই মারা গিয়েছেন এই ১১ জন চা–শ্রমিক। এই এলাকায় এমন অস্বাস্থ্যকর পানীয় জলই মেলে। এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, ডবল ইঞ্জিন সরকারের এটাই কি উন্নয়ন?
এখন লোকসভা নির্বাচনের মরশুম চলছে। রাত পোহালেই ষষ্ঠ দফার নির্বাচন শুরু হয়ে যাবে গোটা দেশে। সেখানে অসম বিজেপি শাসিত রাজ্যে সেখানে ১১ জন চা–শ্রমিকের এমন মর্মান্তিক মৃত্যু আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন এবং অসমের মুখ্যসচিব এবং টিনসুকিয়া জেলার কমিশনারকে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেন। তিনি নিজেও এই জলবাহিত জীবাণুর বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে জল জীবন মিশন প্রকল্প কি পৌঁছয়নি? কেন শ্রমিকদের এমন জীবাণুযুক্ত জল খেতে হল?
আরও পড়ুন: ‘বহু রাষ্ট্রনেতা প্রধানমন্ত্রীকে বস বলে সম্বোধন করেন’, হরিয়ানার মাটি থেকে দাবি রাজনাথের
সর্বানন্দ সোনওয়াল অসম রাজ্য থেকেই রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন। আগে তিনি এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাই তিনি আক্রান্ত মানুষজনের কাছে দ্রুত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে বলেছেন। কিন্তু ততক্ষণে ১১টি প্রাণ চলে গেল। এই আবহে অসমের বিধায়ক রূপেশ গোয়ালা চা–বাগান পরিদর্শন করেছেন। সেখানের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। এই জীবাণু প্রতিরোধে গুরুত্ব সহকারে উদ্যোগ নিতে বলেছেন। তাই এখন নানা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে অসমে। এমনকী টিনসুকিয়া জেলার বাসিন্দারা আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন।
এছাড়া ডায়রিয়া জীবাণু থেকে ঘটে থাকে। অস্বাস্থকর খাবার, জল এগুলি খেলে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এই জীবাণু যুক্ত জলে থাকে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং প্যারাসিটিক অর্গানিজম বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তার ফলে শরীরের জল ও নতুনের ভাগ কমতে শুরু করে। তখন মারাত্মক ডিহাইড্রেশন শুরু হয়। যার জেরে মানুষের মৃত্যু হয়। এই জীবাণু অস্বাস্থ্যকর পানীয় জলেই থাকে। সেই জল পান করলে, রান্নায় ব্যবহার করলে বা বাসন ধুলে তাতে থেকে যায়। ফলে শরীর খারাপ হয়। যার অন্তিম পরিণতি মৃত্যু।