শীতের মরশুমে অনেকেই বেরিয়ে পড়েছেন পাহাড় অথবা জঙ্গলে। আর সেই জঙ্গলে গিয়ে অনেকেই জঙ্গল সাফারিতে যোগ দিয়েছেন। যাতে বাড়তি আনন্দ পাওয়া যায়। কিন্তু জঙ্গল সাফারিতে গিয়ে এবার জিপ থেকে পড়ে গেলেন মা ও মেয়ে। তবে তাঁরা যেখানে পড়লেন সেখানে দাঁড়িয়ে আছে একশৃঙ্গ গন্ডার। আর গন্ডারের মুখে পড়ে আত্মারাম খাঁচা হয়ে গিয়েছে তাঁদের। এই হাড়হিম করা ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। আর তারপরই নেটপাড়ায় তুমুল হইচই পড়ে গিয়েছে। যদিও ওই ভিডিয়ো’র সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল।
তবে এই ঘটনায় বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সত্যিই কি এমন ঘটনা ঘটেছে? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। যদি ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই শিহরণ তোলা ঘটনাটি ঘটেছে অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে এই একশৃঙ্গ গন্ডার বেশি দেখা যায়। আর এটা এখানে বিখ্যাতও। তাই পর্যটকরা এখানে তা দেখতে ভিড় করেন। প্রত্যেক বছর হাজার হাজার পর্যটক জঙ্গল সাফারি করতে এই কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে আসেন। সম্প্রতি এখানেই একটি পর্যটকদের দল এসেছিল। আর সেখানে জঙ্গল সাফারি করতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে।
আরও পড়ুন: ‘সমস্ত অভিযোগ কাল্পনিক–মিথ্যা, আমি প্রমাণ করব’, চার্জ গঠনের সময় বিচারককে পার্থের দাবি
এই কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলে তিনটি গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করার সময় বিপত্তি ঘটে। রাস্তার বাঁকে ওই গাড়ি থেকে পড়ে যান এক মহিলা ও তাঁর একরত্তি কন্যা। আর তাঁরা পড়ে গিয়ে সামলে উঠে দেখেন তাঁদের সামনেই দাঁড়িয়ে আছে একটি একশৃঙ্গ গন্ডার। বিপদ বুঝতে পেরে এবং প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গিয়ে চিৎকার জুড়ে দেন তাঁরা। ওই শিশুকন্যা মায়ের অবস্থা দেখে কান্না জুড়ে দেয়। তখন ওই চেঁচামেচি এবং কান্নার আওয়াজ শুনে গন্ডার রাস্তা বদলে চলে যায়। এই ভিডিয়োই এখন প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে চলছে চর্চা।
এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা কেউ কল্পনাও করেননি। কিন্তু গোটা বিষয়টি এখন সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। তার সঙ্গে চলছে আলোচনা। আর ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গন্ডারটি চলে যেতেই খানিকটা সম্বিৎ ফিররে পান মা–মেয়ে। আর তারপর মা তাঁর মেয়েকে নিয়ে আবার গাড়িতে চড়েন। সেখান থেকে অন্যত্র চলে যান দ্রুত। কাজিরাঙা প্রশাসন এই ঘটনার কথা জানতে পেরে তদন্ত শুরু করেছে ও জঙ্গল সাফারির সময় পর্যটকদের সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান অক্টোবর থেকে মে পর্যন্ত খোলা থাকে। তাই এখানে ভিড় বাড়ান পর্যটকরা।