এটাই নির্মম বাস্তব। পেট চালাবে না পড়াশোনা করবে? স্কুলে না গিয়ে পাথর তোলার কাজে লেগে পড়েছে অসমের কাছার জেলার শতাধিক স্কুল পড়ুয়া। স্কুলের স্পেশাল টিমের রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। জাটিঙ্গা নদী থেকে পাথর তুলছিল তারা। আপাতত কয়েকজন শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। নদীর কাছে রয়েছে চন্দ্রনাথপুর এমই স্কুল। সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, নদী থেকে বেআইনীভাবে পাথর তোলা হয়। সেই কাজেও লেগে পড়েছে কিছু ছাত্রছাত্রী। পাথর তোলার দিনগুলো ওরা স্কুলে আসে না। তবে চাইল্ড লাইনের মাধ্যমে ওদের স্কুলে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। বাবা মাকেও বোঝানো হচ্ছে।
হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি জানিয়েছেন, এর আগেও আমরা অনেককে এই কাজ থেকে সরিয়ে এনেছিলাম। এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর বরাক নদীর বিভিন্ন শাখানদী থেকে পাথর তোলার কাজ হয়। সেই কাজের উপর কাছারের অর্থনীতির অনেকটাই নির্ভরশীল। সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে যে নির্মাণ কাজ হয় তাতেও এই পাথর লাগে। এই চাহিদা যথেষ্ট বাড়ছে।
এদিকে নদী সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী বিভিন্ন পরিবার এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন ঠিকাদারি সংস্থা এই কাজের বরাত পায়। কিন্তু তারা যাতে শিশু শ্রমিকদের কাজে না লাগায় সেটা বলা হয়েছে। কাছারের বাসিন্দা এক মহিলা বলেন, আমার ৮ বছরের মেয়ে স্কুলে যায়। আমিও চাই সে শিক্ষা পাক। তবে পেটের দায়ে ও মাঝেমধ্যে পাথর তোলার কাজও করে।