বিশ্বকল্যাণ পুরকায়স্থ
অসমের শিবসাগর জেলার একেবারে হাড়হিম করা ঘটনা। এক ব্যক্তি নিজেকে তান্ত্রিক বলে দাবি করতেন। ঝাড়ফুঁক, কালা জাদু সহ নানা ধরণের কাজকর্ম করতেন তিনি। অভিযোগ এমনটাই। আর ধনসম্পদ বৃদ্ধির জন্য তিনি এক মহিলাকে বলি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ।
মঙ্গলবার শিবসাগরের নাজিরা এলাকার ঘটনা।ওই তান্ত্রিকের নাম মোচোয়া মুন্ডা। মহিলার দাবি গত দু সপ্তাহ ধরে ওই ব্যক্তি তাকে অনুসরণ করছিল।
মহিলার দাবি, বার বার সে আমাকে দাঁড়াতে বলত। কিন্তু আমি কিছুতেই দাঁড়াতাম না। গতকাল সে আমাকে বলে মাটির নীচে সে নাকি গুপ্তধন পেয়েছে। সেটা খুঁড়ে বের করার জন্য সে আমাকে ডাকে।
মহিলার দাবি, একটা সময় আমাকে বলি দিতে যায়। সে বলে এই গুপ্তধনের জন্য আমাকে বলিদান দিতে হবে। কিন্তু আমি এতে রাজি হইনি। এরপর আমায় বলে সে ২ লাখ টাকা দিয়ে আমায় কিনে নিয়েছে। এরপর কোনওরকমে তিনি তান্ত্রিকের হাত ছাড়িয়ে ছুটতে শুরু করেন। তিনি পুলিশেও খবর দেন। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ আসে। কিন্তু ততক্ষণে ওই তান্ত্রিক হাওয়া হয়ে গিয়েছে।
মহিলা জানিয়েছেন, আমি শুনেছি ওই লোকটা আরও একাধিক মহিলার সঙ্গে ওই কীর্তি করতে চাইত। আমরা পুলিশকে অনুরোধ করেছি ওই লোকটা যে কাউকে বলি দিয়ে দেবে। তার আগে তাকে যেন গ্রেফতার করা হয়।
সূত্রের খবর, ওই মহিলা স্থানীয় থানায় এফআইআর করেছেন। তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০২০ সালে পাঁচজন শিশুকে বলি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল এই জেলাতেই । তখন এক মহিলা সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সময় পুলিশ জানতে পেরেছিল তারাও নানা রকম তান্ত্রিক ক্রিয়াকলাপ করত। এমনকী এক মহিলা নিজেই তার শিশু সন্তানকে বলি দিতে চেয়েছিলেন। ফের সেই একই ঘটনার ছায়া শিবসাগরে।
আবার গত মাসে গুয়াহাটি পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। তারা কামাখ্যা মন্দিরের কাছে ২০১৯ সালের জুন মাস এক মহিলার শিরশ্ছেদ করেছিল বলে অভিযোগ।