বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Imprisonment: নাবালিকাকে জোর করে বিয়ে, অসমের যুবককে ২৫ বছরের হাজতবাসের নির্দেশ আদালতের

Imprisonment: নাবালিকাকে জোর করে বিয়ে, অসমের যুবককে ২৫ বছরের হাজতবাসের নির্দেশ আদালতের

নাবালিকাকে বিয়ে সংক্রান্ত  ক্ষেত্রে বড় রায় দিল আদালত। প্রতীকী ছবি (HT_PRINT)

গত ১৬ জানুয়ারি ওই নাবালিকা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাশের গ্রামে গিয়েছিল। কিন্তু সে ফিরে আসছিল না। দিন দুয়েক বাদে তাকে বিজয়ের বাড়ি থেকে পাওয়া যায়। সেই সময় ওই নাবালিকা জানায় বিজয় তাকে বিয়ে করেছে।

বিশ্ব কল্যাণ পুরকায়স্থ

অসমের হাইলাকান্দি জেলায় শনিবার স্পেশাল কোর্টের তরফে এক ব্যক্তিকে ২৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৩ বছর বয়সি এক নাবালিকাকে অপহরণ করে জোর করে বিয়ে করার দায়ে তার সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম বিজয় বিন। তার বয়স ৩০ বছর। সে রামনাথপুর থানার ঢোলাসিট গ্রামের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, গত বছর ১৮ জানুয়ারি এই মামলা শুরু হয়েছিল।

ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি? সূত্রের খবর, গত ১৬ জানুয়ারি ওই নাবালিকা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাশের গ্রামে গিয়েছিল। কিন্তু সে ফিরে আসছিল না। দিন দুয়েক বাদে তাকে বিজয়ের বাড়ি থেকে পাওয়া যায়। সেই সময় ওই নাবালিকা জানায় বিজয় তাকে বিয়ে করেছে।

এদিকে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিজয়কে গ্রেফতার করে। এরপর পুলিশ ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে। বাল্য বিবাহ রোধের আইনেও বিজয়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই সঙ্গেই পকসো ধারাও প্রয়োগ করা হয়। তারপর শুরু হয় মামলা।

এদিকে সরকারি আইনজীবী মণিকা দেব জানিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়ার ৫ মাস ১৩ দিন পরে জামিন পায় বিজয়। কিন্তু মেয়েটির পরিবার দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি চান। এরপর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে তার শুনানি হয়।

এরপর এক বছর চার মাসের মধ্যে সমস্ত শুনানি শেষ করে রায়দান করা হল। সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, স্পেশাল জাজ সঞ্জয় হাজারিকা বিজয়কে পকসো আইনে ২০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। ৩৬৬ আইপিসিতে তিনি আরও ৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ২৫ বছরের সাজা। তাকে দুটি মামলায় ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। সেটা দিতে না পারলে আরও এক বছরের কারাদণ্ড।

সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, শুনানির সময় পাঁচজন সাক্ষী দিয়েছিলেন। এদিকে ডাক্তারি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছিল তাদের মধ্য়ে যৌন সংসর্গ হয়েছিল। বিজয় তাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল বলে অভিযোগ।

এদিকে বর্তমানে অসম সরকার বাল্য বিবাহ রোধে কঠোরতম ব্যবস্থা নিচ্ছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, বাল্য বিবাহ রুখতে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হচ্ছে।

 

বন্ধ করুন