ছোটবেলায় ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস সিরিজের সিনেমা দেখেই গাড়ির প্রতি প্রেম শুরু। তার উপর বাবা গাড়ি মেকানিক। তাই বাবার পেশায় যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিজের স্বপ্নের গাড়ির ভূত আরও বেশি করে মাথায় চেপে বসে নুরুল হকের। তাই সেকেন্ড হ্যান্ড মারুতি সুইফট কিনে সেটা থেকে নিজেই বানিয়ে ফেললেন ল্যাম্বরগিনি। অসমের করিমগঞ্জের ৩১ বছর বয়সী যুবকের কান্ড দেখতে, এখন ভিড় জমাচ্ছেন জেলার মানুষরা।
হয় তো ল্যাম্বরগিনি Urus-এর রেপ্লিকা একে বলা যায় না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যতটা সম্ভব কম টাকায় গাড়ি তৈরির স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন নুরুল। তাঁর কাছে যন্ত্রপাতিও সীমিত। তাছাড়া পুরোটাই প্রায় একা হাতে করেছেন।
এটি বানাতে মোট ৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান নুরুল। শুরুতে অবশ্য এতটা খরচ হবে তা ভাবতে পারেননি। কিন্তু, কাজ শুরু করার পর দেখেন বাজেট পরিকল্পনার থেকে বেশিই খরচ হচ্ছে। তবুও থামেননি তিনি।
'ইউটিউবে ভিডিয়ো দেখে দেখে করেছি সব,' নিজের গাড়ির ড্রাইভারের আসনে বসে হাসিমুখে জানান লাজুক যুবক। 'মোট ৮ মাস সময় লেগেছে এটা বানাতে।'
নুরুল জানান, এর আগে প্রায় ২০ বছর ধরে নাগাল্যান্ডের দিমাপুরে তাঁদের দোকান ছিল। কিন্তু সেখানে স্থানীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, হুমকির ভয়ে অসমে চলে আসেন তাঁরা। সেই নাগাল্যান্ডেই তিনি প্রথম বাবার গ্যারেজে গাড়ি সারানো, রঙ করা শেখেন।
'এই গাড়িতে করে আমি পুরো রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত যেতে চাই। কিন্তু এখন এটা রাস্তায় বের করলে পুলিশে ধরবে কিনা, তাই নিয়েই চিন্তায় আছি,' জানালেন নুরুল হক।
চিনে বিভিন্ন নামী স্পোর্টসকারের সস্তার নকল বেশ জনপ্রিয়। ফেরারি, ল্যাম্বরগিনি, মাজেরাটি, বুগাটির বিভিন্ন মডেলের গাড়ির রেপ্লিকা তৈরী হয় চিনে।
ভারতেও ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে রেপ্লিকা গাড়ি। কিন্তু আইনি জটিলতার ভয়ে অনেকেই এ ধরনের কাজ করতে গিয়েও পিছিয়ে আসেন। তাছাড়া বিশাল বাজেটের প্রশ্ন তো রয়েইছে।