অসমের ডিমা হাসাও জেলার খনি বিপর্যয়ে আরও এক শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করল ভারতীয় সেনা। জানা গিয়েছে, যে শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তাঁর নাম লিজিয়ন মাগার, বয়স ২৭ বছর। তিনি ডিমা হাসাও জেলার উমরাঙ্গোর বাসিন্দা। উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি এই খনিতে দুর্ঘটনার জেরে আটকে পড়েছিলেন ৯ জন শ্রমিক। দুর্ঘটনার ষষ্ঠ দিনে এসে আজও নিখোঁজ আরও অন্তত ৭ জন শ্রমিক। এই আবহে আশঙ্কা, উৎকণ্ঠা আরও বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় ২ জন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। যতই সময় যাচ্ছে, ততই বাকি শ্রমিকদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ হচ্ছে। সেই খনিতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা এনডিআরএফ, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং অসম রাইফেলস যৌথ ভাবে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। এদিকে শুক্রবার কোল ইন্ডিয়ার ১২ সদস্যের একটি বিশেষ উদ্ধারকারী দল অসমের ডিমা হাসাওতে খনি ধসের এলাকায় পৌঁছেছে। (আরও পড়ুন: ২ বছর ধরে লাগাতার ধর্ষণের শিকার ক্রীড়াবিদ, কোচ সহ ৬০ জন জড়িত বলে অভিযোগ)
আরও পড়ুন: ভিনদেশে অপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা যাবে এবার, নয়া উদ্যোগ ইন্টারপোলের
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পালাবদলের নেপথ্যে আমেরিকা ছিল বলে মনে করে ভারত? জবাব দিলেন মার্কিন NSA
স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দ্বিতীয় মৃতদেহটি উদ্ধার করে এনডিআরএফ টিম। সকালে খনির ভেতরে জলস্তর পরীক্ষা করার সময় একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহটি জলে ভাসছিল। এনডিআরএফ টিম কমান্ডার জানিয়েছেন, প্রতিদিন সকালে জলের স্তর পরীক্ষা করার কাজ চলেছে। এখন খনির ভেতরে জলস্তর ৬ মিটার নীচে নেমেছে। সারা রাত ধরে পাঁচটি পাম্প চালানো হয়েছে। এর আগে গত বুধবার সকালে সেনাবাহিনীর ২১ প্যারা-র ডুবুরিরা প্রায় ৩০০ ফুট গভীরে গিয়ে প্রথম মৃতদেহটি উদ্ধার করেছিল। সেই শ্রমিকের নাম ছিল গঙ্গা বাহাদুর শ্রেষ্ঠ। তিনি নেপালের উদয়পুরের বাসিন্দা ছিলেন। ডুবুরিরা জানান, গঙ্গা বাহাদুরের দেহ খনির তলায় একটি ট্রলির নীচে আটকা পড়েছিল। (আরও পড়ুন: যত দোষ বাইডেনের... ট্রাম্প গদিতে বসার আগেই বিস্ফোরক মেটা প্রধান জুকারবার্গের)
আরও পড়ুন: ২০০৫-এ যখন আমেরিকা আমার ভিসার আবেদন নাকচ করে... পডকাস্টে অকপট মোদী
আরও পড়ুন: পরপর প্রচেষ্টায় বিফল, মহাশূন্যে আদৌ 'মিলন' হবে ২ স্যাটেলাইটের? ISRO বলল...
এদিকে কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির সাথে উদ্ধার অভিযান নিয়ে কথা হয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী। এই নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়। সেই নির্দেশের পরই পলিশের তরফ থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। মনে করা হচ্ছে এই খনিটি অবৈধ। এদিকে অসমের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সিইও জিডি ত্রিপাঠী বলেন, 'আশা করছি বাকি নিখোঁজ খনি শ্রমিকদের বিষয়ে আমরা শীঘ্রই জানতে পারব।' এদিকে গতকাল হিমন্ত বলেন, 'এখনও পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে ৯ জনের পরিবার যোগাযোগ করেছে। তবে যদি এমন কোনও ব্যক্তি সেই খনিতে ঢুকে থাকে যাঁর কোনও পরিবার নেই, বা তিনি কাউকে না জানিয়েই খনিতে গিয়েছিলেন, তাহলে তাঁর বিষয়ে এখন জানার কোনও উপায় নেই।'