কাজিরাঙা ন্যাশানাল পার্ক ও টাইগার রিজার্ভকে কেন্দ্র করে সুসংহত ইকো সেনসেটিভ জোন ও ৯টি অ্যানিমাল করিডর তৈরিতে অনুমোদন দিল অসম ক্যাবিনেট। এদিকে অসমে পশুদের যাতায়াতের পথ থেকে জবরদখল উচ্ছেদ করার জন্য় আগেই নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তথ্যমন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা জানিয়েছেন, রাজ্য ক্যাবিনেট কাজিরাঙা ন্যাশানাল পার্ক ও সংলগ্ন সাতটি সংরক্ষিত এলাকা ও ১১টি রিজার্ভ ফরেস্টে ইকো সেনসেটিভ জোন তৈরির অনুমোদন দেওয়া দিয়েছে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, বন্যপ্রাণ রয়েছে এমন এলাকাগুলির সীমানা নির্ধারণ করা অত্যন্ত দরকার। এদিকে সূত্রের খবর, ১১টি রিজার্ভ ফরেস্ট, সাতটি সংরক্ষিত এলাকা KNPTR এর মধ্যে পড়ছে। এদিকে কাজিরাঙা অভয়ারণ্যের দক্ষিণে ৯টি অ্য়ানিমাল করিডরকে চিহ্নিত করার ব্যাপারেও খসড়া নোটিফিকেশনে অনুমোদন দিয়েছে অসম ক্যাবিনেট। কাজিরাঙা অভয়ারণ্যে বসবাসকারী বন্যপ্রাণীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য এই করিডরগুলিকে চিহ্নিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন।সুপ্রিম কোর্টের গাইড লাইন মেনেই এটা করা হচ্ছে। জানিয়েছেন মন্ত্রী।
এদিকে পরিবেশপ্রেমী রোহিত চৌধুরীর চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে অ্যানিমাল করিডরে কোনও ব্যক্তিগত নির্মাণ না করার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপর দেখা যায় ওই করিডরের মধ্যে ২২টি বেআইনী নির্মাণ রয়েছে। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১টিকে সরানো সম্ভব হয়েছে। তবে এবার বন্যপ্রাণের সুরক্ষায় বড় পদক্ষেপ নিল অসম ক্যাবিনেট।