বিশ্বকল্যাণ পুরকায়স্থ
শিলচরে বন্যার সঙ্গে 'বন্যা জিহাদ' দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যদিও বন্যার সঙ্গে কোনও সাম্প্রদায়িক যোগসূত্র বলে নেই স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিল অসম পুলিশ। 'বন্যা জিহাদ'-কে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে কাছারের পুলিশ সুপার স্পষ্টভাবে জানালেন, সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় যাঁরা সেই শব্দ ব্যবহার করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার কাছারের পুলিশ সুুপার জানিয়েছেন, মহিষা বিলের জমে থাকা জল যাতে বেরিয়ে যায়, সেজন্য বেথুকান্দির বন্যাকবলিত মানুষ চেষ্টা করেন। শিলচর টাউনের কাছে একটি বাঁধের একাংশে ফাটল ধরানো হয়। সেই ঘটনার পিছনে কোনও সাম্প্রদায়িক বিষয় নেই। সরকারি দফতরের খবর পেয়ে পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। ঘটনাটিকে সরকারি সম্পত্তি নষ্টের মামলা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাছারের পুলিশ সুুপার।
আরও পড়ুন: Assam Flood: ফের ৪জনের মৃত্যু, প্লাবিত শিলচর, ডাকাতির অভিযোগ, কেমন আছে অসম?
সেইসঙ্গে কাছারের পুলিশ সুুপার জানান, প্রকৃতির কারণে বন্যা হয়েছে। সেজন্য কোনও একজন মানুষকে দোষারোপ করা যায়। না। চলতি বছর প্রবল বৃষ্টি হয়েছে (ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, জুনের নিরিখে ১২১ বছরে সর্বাধিক বৃষ্টি হয়েছে অসম এবং মেঘালয়ে)। বন্যায় সব ধর্মের মানুষই সমানভাবে প্রভাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: জীবন বাজি রেখে বন্যা দুর্গতদের পাশে, অসমে রিয়েল লাইফ হিরো সেনা ক্যাপ্টেন রূপম
'বন্যা জিহাদ'-র বিষয়টি খারিজ করে দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও। গুয়াহাটিতে বুধবার তিনি বলেন, 'এটা কোনও বড় বিষয় নয়। জিহাদের মতো শব্দ ব্যবহারের কোনও দরকার ছিল না। ক্ষুদ্র মস্তিষ্কসম্পন্ন কয়েকজন সেই কাজটা করেছেন। তাঁদের মস্তিষ্কের আকার বড় করার জন্য আমরা উপযুক্ত পদক্ষেপ করছি। আমি সমাজের সকলের কাছে প্ররোচনামূলক শব্দ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আর্জি জানাচ্ছি।'