উৎপল পরাশর
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা কার্যত স্বীকার করে নিলেন, সেদিন অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে ফেলেছিল রাজ্য পুলিশ। মঙ্গলবার কার্যত তার জেরেই অসম মেঘালয় সীমান্তে মেঘালয়ের পাঁচ বাসিন্দা ও এক বনরক্ষীর মৃত্যু হয়েছিল।দিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানিয়ে দেন, কিছু মিডিয়াতে দাবি করা হয়েছে অসম ও মেঘালয়ের মধ্যে সীমান্ত সমস্য়ার জেরে এই ঘটনা বলে। এমনটা নয়।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, কিছু লোক সীমান্ত এলাকায় গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আমাদের বনকর্মীরা তাদের আটকেছিলেন। এরপর তিনজনকে গ্রেফতারও করা হয়। এরপর পুলিশ যখন গাড়িগুলি আনতে যায় তখন গ্রামের লোকজন তাদের ঘিরে ফেলে। আর তার জেরেই এই গুলি চালনার ঘটনা। তবে আমার মনে হয়েছে আমাদের পুলিশের এত গুলি চালানো ঠিক হয়নি। পুলিশ আরও একটু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারত। আমাদের দিক থেকে যা করার সবটা করছি আমরা। যদি দেখা যায় আমাদের লোক এতে দোষী তবে তাদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
এদিকে মেঘালয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড়ে মেঘালয়ের মধ্যে ঢুকে অসমের বনরক্ষী ও পুলিশ বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে। তবে অসমের দাবি পশ্চিম কার্বি আলং জেলার মধ্যেই গাছ চুরি আটকাতে গিয়েই এই ঘটনা। দুষ্কৃতীরা পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিল বলে অসমের তরফে দাবি করা হয়েছে।
তবে উভয় সরকারই মৃতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে। অসম সরকার পশ্চিম কার্বি আলংয়ের এসপিকে বদলি ও পুলিশ ও বন আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে মন্ত্রিসভা।