উৎপল পরাশর
একদিকে দিল্লিতে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। অরেঞ্জ সতর্কতা দিল্লি জুড়ে। আর অন্য়দিকে অসমে বন্যা পরিস্থিতি। টানা বর্ষণে ও ধসে বিপর্যস্ত অসমের বিস্তীর্ণ এলাকা। অসমের ডিমা হাসাও এলাকায় রাস্তা ও রেললাইনের একাংশও প্রবল বৃষ্টিতে ধসে গিয়েছে। এর জেরে ১৭টি ট্রেন পুরোপুরি অথবা আংশিকভাবে বাতিল করা হয়েছে। রেললাইন ও রেলব্রিজের একাংশও ধসে গিয়েছে প্রবল বর্ষণের জেরে। ৭৬ কিমি এলাকায় অন্তত ২৬ জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রিজ ও রেললাইনে।
এদিকে বিভিন্ন জায়গায় বাসিন্দারা আটকে পড়েছেন দুর্যোগ কবলিত এলাকায়। বাস ও হেলিকপ্টার করে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে গিয়েছে, অসমের উপর দিয়ে যাওয়া সমস্ত জাতীয় সড়়ক ও অধিকাংশ রাজ্য সড়ক বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং হয়ে গিয়েছে। ইন্টারনেটেও যোগাযোগ নেই। ধসে মৃত্যু হওয়া তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে রবিবার।
নর্থ ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, শিলচর-গুয়াহাটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি মাঝপথেই দাঁড়িয়ে পড়েছে। সেখান থেকে ১২৪৫ জন যাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। কয়েকজন হেঁটে একটি ভাঙা ব্রিজে পেরিয়েছেন। অন্তত ২০০জনকে এয়ার লিফ্ট করে হেলিকপ্টার করে উদ্ধার করা হয়েছে।
পাশাপাশি গুয়াহাটি-শিলচর প্যাসেঞ্জার ট্রেন নিউ হাফলং এলাকায় দাঁড়িয়ে পড়ে। এরপর সেই ট্রেন থেকে বাসে চাপিয়ে যাত্রীদের বের করে আনা হয়েছে। অসম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের সিইও জিডি ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, ডিমার পাশাপাশি অন্যান্য পাঁচটি জেলাতেও বন্যা পরিস্থিতির খবর মিলেছে। তবে পরিস্থতি অতটা খারাপ নয়।