এবার অসমে হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার একটা অভূতপূর্ব ছুটির ঘোষণা করেছে। আজ, বৃহস্পতিবার এই ছুটির খবর সামনে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ সরকারি কর্মচারীরা এমনিতেই নানা ছুটি অন্যান্যদের থেকে বেশি পেয়ে থাকেন। সেখানে বাড়তি দু’দিনের ছুটি ঘোষণা করার পর আলোচনা তুঙ্গে উঠেছে। এই দু’দিনের ছুটিকে বলা হয়েছে, স্পেশাল ক্যাজুয়াল লিভ। যা অসম সরকারের কর্মচারীরা পাবেন চলতি বছরের নভেম্বর মাসে। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে আজ এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। আর তখন থেকেই সরকারি কর্মচারী মহলে খুশির হাওয়া বইছে।
এদিকে এই ছুটি নিয়ে অনেকে খোঁজখবর করতে শুরু করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, এই দু’দিন ছুটি দেওয়া হয়েছে সরকারি কর্মচারীদের যাতে তাঁরা ওই দু’দিন নিজেদের বাবা–মায়ের সঙ্গে এবং শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সময় কাটান। এমন অভূতপূর্ব ছুটি আগে কোনও রাজ্য দিয়েছে কিনা তা অনেকে মনে করতে পারছেন না। তবে এই ছুটি কিন্তু ব্যক্তিগত আনন্দ–ফুর্তির জন্য নয়। সেটা শর্তে বলে দেওয়া হয়েছে। এই ছুটি দেওয়া হচ্ছে শুধুমাত্র নিজেদের অভিভাবক এবং শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য।
আরও পড়ুন: সিকিম যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল, সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, আতঙ্কে পর্যটকরা
অন্যদিকে যাঁদের বাবা–মা প্রয়াত হয়েছেন এবং শ্বশুরবাড়িতেও কেউ বেঁচে নেই তাঁরা এই স্পেশাল ক্যাজুয়াল লিভ পাবেন না। এই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নেতৃত্বে অসম সরকার স্পেশাল ক্যাজুয়াল লিভ ঘোষণা করেছে। ৬ নভেম্বর এবং ৮ নভেম্বর এই দু’দিন নিজেদের অভিভাবক এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কাটানোর জন্য ছুটি দেওয়া হচ্ছে।’ এই ছুটি সম্পূর্ণ নিজের বয়স্ক বাবা–মা অথবা প্রবীণ শ্বশুর শাশুড়ির সময় কাটাতে দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের শ্রদ্ধা, সম্মান এবং দেখভালের জন্য এই বিশেষ ছুটি দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া আগামী ৭ নভেম্বর ছট পুজোর জন্য ছুটি থাকবে। ৬ নভেম্বর থাকছে স্পেশাল ক্যাজুয়াল লিভ। ৮ নভেম্বর থাকছে স্পেশাল ক্যাজুয়াল লিভ। ৯ নভেম্বর দ্বিতীয় শনিবার মাসের তাই ছুটি। আর ১০ নভেম্বর রবিবার হওয়ায় এমনিই ছুটি। সেক্ষেত্রে টানা পাঁচদিন ছুটি পেয়ে যাবেন সরকারি কর্মচারীরা। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর সরকারি কর্মচারীরা পরিবার নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে সূত্রের খবর। বাংলার সরকার পুজো–পার্বণে ছুটি দিলে বিজেপি নেতারা কটাক্ষ করেন। সেখানে অসম সরকার বিজেপি শাসিত হওয়ায় কোনও কথা বলছেন না।