প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পূর্ব অসমের ডিব্রগড়ে খানিকার প্যারেড গ্রাউন্ডে পতাকা উত্তোলন করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এই প্রথমবার প্রজাতন্ত্র দিবসে অসমের প্রশাসনিক সমারোহ আয়োজিত হল ডিব্রুগড়ে। আর সেই ডিব্রুগড়ের বুক থেকে অসমের জন্য এক বড় ঘোষণা করেন হিমন্ত।
অসমের দ্বিতীয় রাজধানীর নাম ঘোষণা করেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন,' আসামের দ্বিতীয় রাজধানী হওয়ার পথে ডিব্রুগড়ের যাত্রায় আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। ঐতিহাসিক এই শহরে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান হচ্ছে।' তিনি জানিয়ে দেন, ডিব্রুগড় হতে চলেছে অসমের দ্বিতীয় রাজধানী। ফলে গুয়াহাটির দিসপুর সহ ডিব্রুগড়ও এবার অসমের রাজধানী হতে চলেছে। এদিনের বড় ঘোষণায় হিমন্ত জানিয়েছেন, অসমের বিধানসভা তৈরি হবে ডিব্রুগড়ে। ২০২৭ থেকে প্রতি বছর অসমের বিধানসভার একটি অধিবেশন ডিব্রুগড়ে হবে বলেও তিনি জানান। আপার অসমে ব্রহ্মপুত্রের দক্ষিণ তীরে অসমের বিধানসভার স্থায়ী একটি ভবনও নির্মিত হবে বলে জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,' আগামী বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে আসাম বিধানসভার স্থায়ী ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে ডিব্রুগড় ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে পরিণত হবে।' তিনি সাফ জানান, আগামী ৩ বছরের ডিব্রুগড়কে অসমের দ্বিতীয় রাজধানী হিসাবে গড়ে তোলা হবে।
হিমন্ত বলেন,'আমরা তেজপুরে একটি রাজভবন নির্মাণ করব এবং এটিকে অসমের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলব। শিলচরে একটি সচিবালয় এবং মুখ্য সচিবের কার্যালয় থাকবে, যার ফলে বরাক উপত্যকা এবং গুয়াহাটির মধ্যে ব্যবধান দূর হবে।' সরকারের নগরায়ণ পরিকল্পনার অংশ হিসাবে, আসন্ন সময়ের মধ্যে ডিব্রুগড়ের সাথে তেজপুর এবং শিলচরকেও উন্নত করা হবে, বলে জানিয়েছিলেন হিমন্ত। গত বছর, রাজ্যের রাজধানীর বাইরে ডিব্রুগড় শহরে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী সচিবালয় গড়ে তুলেছে হিমন্ত প্রশাসন। হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন,' প্রজাতন্ত্র দিবসে ডিব্রুগড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রথমবারের মতো জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। আজ আসামের দ্বিতীয় রাজধানী ডিব্রুগড়কে রূপান্তরিত করার প্রথম পদক্ষেপ।'