বিশ্বকল্যাণ পুরকায়স্থ
শিলচরে ন্যাশানাল ইন্সটিউট অফ টেকনোলজিতে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা। শুক্রবার রাতে ছাত্র বিক্ষোভ মাথাচাড়া দেয়। কয়েকজন অধ্যাপকের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। অন্তত ৪০ জন জখম হয়েছেন এই ঘটনায়।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ঘটনার সূত্রপাত। সেই সময় তৃতীয় বর্ষের ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। হস্টেলের ঘর থেকে কোজ বুকার নামে ওই ছাত্রের দেহ মেলে। এদিকে পড়ুয়ারা কিছুতেই বডি বের করতে দেয়নি।
প্রায় ঘণ্টা দুয়েক এনিয়ে টানাপোড়েন চলতে থাকে। ওই ছাত্র আসলে অরুণাচলের বাসিন্দা। তার সহপাঠীদের দাবি ২০২১ সালে প্রথম সেমেস্টার হচ্ছিল অনলাইনে। এক ছাত্র জানিয়েছেন, লকডাউনের সময় তিনি বাড়িতেই ছিলেন। কিন্তু ইন্টারনেটের সমস্যার জন্য় তিনি কিছুতেই ক্লাস করতে পারছিলেন না। এদিকে তিনি কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলেন।
সূত্রের খবর, তাকে পঞ্চম সেমেস্টারে উঠতে দেওয়া হয়নি। ডিন অ্য়াকাডেমিক্স বিকে রায় সকলের সামনে তাকে অপমান করেন বলেন অভিযোগ। অন্যান্য ছাত্রদের তেমনটাই অভিযোগ।
ওই ছাত্র বলেছিল ব্যাকলগ যেগুলো আছে সেটা মেকআপ করার জন্য স্পেশাল পরীক্ষা নেওয়া হোক। সে প্রফেসরের কাছেও গিয়েছিল। কিন্তু তিনি সকলের সামনে অপমান করেন বলে অভিযোগ। এরপরই তিনি ঘরের মধ্যে গিয়ে ভেতর থেকে খিল তুলে দেন। পরে তার দেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তার দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে এনআইটি শিলচর কর্তৃপক্ষ জানায় ক্য়াম্পাসের পরিস্থিতি ক্রমেই বিগড়ে যাচ্ছে। কাছারের পুলিশ সুপার নুমাল মাহাতা জানান প্রফেসর বিকে রায়ের বাড়ির সামনে প্রচুর পড়ুয়া জড়ো হয়ে গিয়েছে। তারা বাড়িতেও ভাঙচুর চালায়।
এমনকী পুলিশের উপরেও তারা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। একটা সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এভাবে ভাঙচুর চালানোর জন্য সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করার জন্য আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।