ছেলের বউকে জোর করে অ্যাসিড পান করানোর অভিযোগ উঠল শাশুড়ির বিরুদ্ধে। এই ঘটনার জেরে মারা যান পুত্রবধূ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই গ্রেফতার করা হয় শাশুড়ি গোপালজন বিবিকে। শোরগোল পড়ে যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। অসমের করিমগঞ্জে এই ভয়াবহ কাণ্ড ঘটেছে। এখানের ভৈরবনগর থেকে শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে অসমে? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত গৃহবধূর নাম সুমনা বেগম (২১)। তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই গৃহবধূর কাকা জালিল আলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। যেখানে সুমনাকে অ্যাসিড খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ১২ জুলাই এই অভিযোগ দায়ের হয় শাশুড়ির বিরুদ্ধে।
কেন এমন ঘটনা ঘটল? পুলিশকে জালিল আলি জানিয়েছেন, সুমনার সঙ্গে বিয়ে হয় শাকিল আহমেদের। বিয়ের পর থেকেই পুত্রসন্তান জন্ম দেওয়ার দাবি করে শ্বশুরবাড়ি। কিন্তু সুমনার কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। তারপর থেকেই অত্যাচার শুরু হয়। তাদের বোঝানো যায়নি ছেলে–মেয়ে কো জন্ম নেবে, সেক্ষেত্রে মায়ের কোনও হাত থাকে না। তারা এটাকে অপরাধ হিসাবে দেখে সুমনাকে জোর করে অ্যাসিড পান করতে বাধ্য করে। তখন রক্তবমি করে সুমনা এবং পরে মারা যায়।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই ঘটনার পর রাতাবাড়ি থানার পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এবং ৩৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেফতার করা হয় শাশুড়ি গোপালজন বিবিকে এবং তার দুই ছেলেকে। এর মধ্যে একজন সুমনার স্বামী। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই খুনের নেপথ্যে আর কোনও গটনা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুমনার দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। সুমনার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।