বিশ্বকল্যাণ পুরকায়স্থ
মঙ্গলবার অসমের কাছার জেলা থেকে এক সন্দেহভাজন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে বিএসএফ। করিমগঞ্জ থেকে তাড়া করে নিয়ে এসে কাছারের কাছে তাদের পাকড়াও করা হয়।
১৭০০০ ইয়াবা ট্যাবলেট তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর সঙ্গে ১.৭ কোটি টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক গ্যাজেটও পাওয়া গিয়েছে। একটি চারচাকা গাড়ি থেকে এসব বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বিএসএফের মিজোরাম ও কাছার ফ্রন্টিয়ার জানিয়েছে, বুধবার রাতে তারা অপারেশন চালিয়েছিল। বিএসএফ জানিয়েছে, করিমগঞ্জের কাস্টমস ডিভিশনকে সঙ্গে নিয়ে বিএসএফ অলটো গাড়িটিকে তাড়া করে। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে এই অপারেশনে নামা হয়েছিল। জাতীয় সড়ক ধরে মেঘালয়ের দিকে যাচ্ছিল গাড়়িটি। হিলারা রেল ক্রশিংয়ের কাছে গাড়িটি দাঁড় করানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহভাজন ইয়াবা ট্যাবলেটের খোঁজ মিলেছে। গাড়ির বাঁদিকের দরজার ভেতর লুকানো ছিল। গাড়ির চালককে আটক করা হয়েছে। এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে একটি করে ইয়াবা ট্যাবলেটের দাম ১০০০ টাকা করে। আর সব মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রীর পরিমাণ ১.৭ কোটি। অলটো গাড়ির দাম প্রাম ২ লাখ টাকা।
ধৃতের নাম জিয়াউর রহমান। তার বাড়ি কাছার জেলায়। করিমগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়েছে।
কাছারের পুলিশ সুপার নুমাল মাহাতো জানিয়েছেন, বিএসএফ আর কাস্টমস এই অভিযান চালিয়েছিল।
এদিকে সম্প্রতি অসম ও প্রতিবেশী রাজ্য়ের একাধিকজনকে এই ইয়াবা ট্যাবলেট সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ১৭ ডিসেম্বর ৬২০০০০ ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল কাছারে। তখন মণিপুরের তিনজন বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তখন জানা গিয়েছিল মণিপুরের চূড়াচন্দপুর জেলা থেকে এগুলি আনা হয়েছিল। আর ধৃতরা স্বীকার করেছিল এগুলি পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
এদিকে এবার এই মাদক ট্যাবলেট কোথায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। আরও কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে গোটা ঘটনায় ফের উত্তর পূর্বের জেলায় মাদক পাচার নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে।
এবার দেখা যাক কী দিয়ে তৈরি হয় এই ইয়াবা ট্যাবলেট?
মেথঅ্যাম্ফিাটামাইন ও ক্যাফাইন দিয়ে তৈরি হয় এই ট্যাবলেট। সাধারণত মায়ানমারে এগুলি তৈরি হয়। এরপর চোরাপথে তা বাংলাদেশে ঢোকে। ২০০০ সাল নাগাদ এটি বাংলাদেশে ব্যপক জনপ্রিয়তা পায়। পাশাপাশি এটি অন্যান্য মাদকের চেয়ে সস্তা হওয়ার জন্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এদিকে এর আগেও এনিয়ে অভিযান চালিয়েছে শুল্ক দফতর। চলতি বছরের অগস্ট মাসে প্রায় ৫৫ কোটি টাকার হেরোইন বাজেয়াপ্ত করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।