Mandatory Assamese Language: বিজেপি শাসিত অসমে সব সরকারি কাজে বাধ্যতামূলক অসমিয়া, বাংলা কোথায় থাকছে?

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, বরাক উপত্যকা ও বোড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল রিজিয়নের জেলাগুলিতে যথাক্রমে বাংলা ও বোড়ো ভাষা ব্যবহার করা হবে

উৎপল পরাশর

 অসমে সমস্ত সরকারি কাজে অসমিয়া ভাষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অসমিয়া নববর্ষের প্রথম দিন থেকে এটি কার্যকর হচ্ছে।

'এই বোহাগ (অসমিয়া ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস) থেকে শুরু করে, অসম বেশিরভাগ অংশ জুড়ে সমস্ত সরকারী বিজ্ঞপ্তি, আদেশ, আইন ইত্যাদির জন্য অসমিয়া বাধ্যতামূলক সরকারি ভাষা হবে। বরাক উপত্যকা ও বিটিআর (বোড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল রিজিয়ন) জেলায় যথাক্রমে বাংলা ও বোড়ো ভাষা ব্যবহার করা হবে।

রাজ্যপাল লক্ষ্মীপ্রসাদ আচার্যের নির্দেশে রাজ্যের পলিটিকার ডিপার্টমেন্টের  তরফে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। অসম মন্ত্রিসভা এই মাসের শুরুতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে সমস্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি, আদেশ অসমিয়া এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই হবে। আগে প্রচলিত থাকলেও তা বাধ্যতামূলক ছিল না।

সমস্ত সরকারি কাজে বাধ্যতামূলকভাবে অসমিয়া ভাষা ব্যবহার করা হবে। সমস্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি, অফিস স্মারকলিপি, আইন, বিধি, বিধি, স্কিম নির্দেশিকা, বদলি এবং পোস্টিং অর্ডার ইংরেজি এবং অসমিয়া উভয় ভাষাতেই হতে হবে।

এতে উল্লেখ করা হয়, তিনটি জেলা নিয়ে গঠিত বাঙালি অধ্যুষিত বরাক উপত্যকায় ইংরেজি ছাড়াও বাংলা ভাষা ব্যবহার করা হবে এবং চারটি জেলা নিয়ে গঠিত বিটিআরে সব অফিসের কাজে ইংরেজির সঙ্গে বোড়ো ভাষা ব্যবহার করা হবে।

কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক জারিকৃত সকল প্রজ্ঞাপন, আদেশ, আইন, বিধি ও প্রবিধান এবং নির্দেশাবলী সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্তৃক প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে অসমিয়া ভাষায় (বোড়ো ও বাংলা, যেক্ষেত্রে প্রযোজ্য) অনুবাদ করে প্রকাশ করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইন, বিধি ও প্রবিধান এবং বিজ্ঞপ্তি সম্বলিত উত্তরাধিকার নথিগুলি আগামী দুই বছরের মধ্যে অসমিয়া এবং বোড়ো এবং বাংলায় (যেখানে প্রযোজ্য) অনুবাদ করা হবে।

‘কোনও অস্পষ্টতা, বৈষম্য, আইনি ব্যাখ্যার প্রয়োজনীয়তার ক্ষেত্রে, এই জাতীয় আইন, বিজ্ঞপ্তি, বিধি, প্রবিধান, অধ্যাদেশের ইংরেজি সংস্করণ প্রাধান্য পাবে,’ ভারত সরকার, কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস এবং অন্যান্য রাজ্য সরকারের প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগের জন্য ইংরেজি ব্যবহার অব্যাহত থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আদালতে দাখিল করা যাবতীয় চিঠিপত্র, প্রতিবেদন, হলফনামা, নির্দেশাবলী ইংরেজিতে করতে হবে, যা কোনো বিধি, আইন, বিধি, অফিস আদেশ, আদালতের আদেশ বা রায়ে বর্ণিত বিধানাবলীর ব্যাখ্যার ভাষা হবে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে। 

এদিকে এর আগে দক্ষিণের একাধিক রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনেছে। তবে বিজেপি পরিচালিত অসমে দেখা গেল অন্য ছবি। সেখানে গুরুত্ব পেল অসমিয়া ভাষাই।