মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব ধর্মান্ধতার জন্য পরিচিত। তবে অসমের দল অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের বিধায়ক আমিনউল ইসলাম দাবি করলেন যে ঔরঙ্গজেব নাকি ৪০০টি মন্দিরের জন্য জমি দান করেছিলেন। তাঁরই দান করা জমিতে নাকি দাঁড়িয়ে গুয়াহাটির বিখ্যাত কামাখ্যা দেবী মন্দির।
আমিনউল বলেন, ‘অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে ভারত ১৯৪৭ সাল থেকে ধর্মনিরপেক্ষ। এর জবাবে আমি বলতে চাই যেই নেতারা ভারত শাসন করেছেন তাঁরা সবাই ধর্মনিরপেক্ষতা মেনে চলেছেন। হিন্দু শাসকদের আমলে মুসলিম শ্রেণীর মানুষ তাদের ধর্মবিশ্বাসের জন্য স্বাধীন ছিল। একই অবস্থা মুসলিম শাসকদের আমলেও ছিল।’
আমিনউল ইসলাম বলেন, ভারত হাজার বছর ধরে ধর্মনিরপেক্ষ। তিনি বলেন, 'পবিত্র আসাম' বই অনুসারে ঔরঙ্গজেবের দরবারের এক কর্মকর্তা কামাখ্যা মন্দিরের জমি দান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, কামাখ্যা মন্দিরের জন্য ঔরঙ্গজেবের জমি দানের নথি ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।
এদিকে আমিনুলের এই মন্তব্যের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমিনউল ভারতীয় সংস্কৃতিকে অসম্মান করেছেন। আমার সরকার এই ধরনের মন্তব্যকে সহ্য করবে না। কেউ কামাখ্যাকে ছিনিয়ে নিতে পারবে না । শঙ্করদেব বা মহম্মদও নয়।’ এদিকে ইতিমধ্যে এই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আমিনউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে কুটুম্ব সুরক্ষা মিশন নামক এক হিন্দু সংগঠন। প্রসঙ্গত, এর আগে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আমিনউলকে।