মঙ্গলবার পৃথিবীর কাছ দিয়ে একটি বিশালাকার গ্রহাণু বেরিয়ে যাবে। এই বিষয়ে উল্লেখ করেছে মার্কিন গবেষণা সংস্থা NASA। গ্রহাণুটির আকার একটি বড় স্টেডিয়ামের মতো। প্রায় ৬৮০ ফুট চওড়া! ২০ ডিসেম্বর পৃথিবীর নিকট দিয়ে এই গ্রহাণু চলে যাবে। গ্রহাণুটির নামকরণ করা হয়েছে 2014 HK129। পৃথিবী থেকে নিকটতম অবস্থায় গ্রহাণুটি প্রায় ২৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্বে থাকবে। বলাই বাহুল্য, গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের কোনও সম্ভাবনাই নেই। তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানের নিরিখে এই গ্রহাণুর গমন ত
ঘণ্টায় ৪১,৬৮৯ কিলোমিটার বেগে বেরিয়ে যাবে এই গ্রহাণু। এটি কোনও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের গতির প্রায় ৩ গুণ বেশি। আরও পড়ুন: Mars Dust Devil: মঙ্গলগ্রহের ধুলিঝড়ের শব্দ প্রকাশ করল NASA!
অ্যাস্টেরয়েড 2014 HK129 গ্রহাণুটি অ্যাপোলো গ্রুপের। প্রথমবার ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল এই গ্রহাণুর খোঁজ মেলে। এটি সূর্যের চারপাশে একটি প্রদক্ষিণ সম্পূর্ণ করতে ৮১০ দিন সময় নেয়। প্রদক্ষিণকালে সূর্য থেকে সর্বোচ্চ দূরত্ব থাকে ৩৭৯ মিলিয়ন কিলোমিটার।
নাসা কিভাবে গ্রহাণুর পর্যবেক্ষণ করে?
দূরবর্তী গ্রহাণু অধ্যয়নের জন্য টেলিস্কোপ এবং NEOWISE-র মতো মানমন্দির ব্যবহার করে NASA। এছাড়াও মার্কিন মহাকাশ সংস্থার একটি নতুন ইমপ্যাক্ট মনিটরিং সিস্টেমও রয়েছে। এতে 'সেন্ট্রি-II' অ্যালগরিদম ব্যবহার করে পৃথিবীর নিকটবর্তী বস্তুর প্রভাবের ঝুঁকি গণনা করা হয়।
চলতি বছর অক্টোবরে, নাসা তার DART স্পেসশিপের মাধ্যমে ডিমারফোস নামের একটি গ্রহাণুতে পরিকল্পিতভাবে আঘাত হানে। সেই অভিযানের মাধ্যমে দেখা হয়, প্রয়োজনে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা কোনও গ্রহাণুকে মহাকাশেই গতিপথ বদলে দেওয়া সম্ভব কিনা। DART-এর গ্রহাণুর গায়ে আছড়ে পড়ার ভিডিয়ো দেখতে চান? তাহলে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিমাপে 'সন্নিকটস্থ'
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে এই স্কেল গুলিয়ে ফেললে চলবে না। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে 'কাছাকাছির' পরিমাপ কিন্তু অনেকটাই বেশি। পড়ুন: Origin of Life: আমার-আপনার ইতিহাস বলে দিচ্ছে একটি উল্কাপিণ্ড! বিরাট আবিষ্কার খড়্গপুর IIT-র
পৃথিবী থেকে ১৯.৪ কোটি কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত যে কোনও গ্রহাণু বা অন্যান্য ছোট সৌরজাগতিক বস্তুকে পৃথিবীর নিকটবর্তী বস্তু হিসাবে বিবেচনা করা হয়।