আকারে সে তাজমহলের তিনগুণ। আগামী ২৫ জুলাই পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে আসবে একটি গ্রহাণু। নাসার পৃথিবীর সন্নিকটস্থ বস্তুর ডেটাবেসে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।
কবে আসবে?
গ্রহাণু ‘2008 GO20’-র ব্যাস প্রায় ২২০ মিটার। আগামী ২৫ জুলাই ভারতীয় সময়ে ভোর ৩ টে নাগাদ পৃথিবীর নিকটতম অবস্থানে পৌঁছবে গ্রহাণুটি।
কতটা 'কাছে' আসবে?
সেই সময়ে গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে ৪৭ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে। এটি পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের প্রায় ১২ গুণ। তা সত্ত্বেও খাতায় কলমে গ্রহাণুটিকে পৃথিবীর নিকটবর্তী বস্তু (Near-Earth Object) হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিমাপে 'সন্নিকটস্থ'
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে এই স্কেল গুলিয়ে ফেললে চলবে না। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে 'কাছাকাছির' পরিমাপ কিন্তু অনেকটাই বেশি। পৃথিবী থেকে ১৯.৪ কোটি কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত যে কোনও গ্রহাণু বা অন্যান্য ছোট সৌরজাগতিক বস্তুকে পৃথিবীর নিকটবর্তী বস্তু হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
গ্রহাণুটি পৃথিবীর কক্ষপথ নির্বিঘ্নেই অতিক্রম করবে। তবুও নাসা 'স্পেস-রক'টিকে একটি সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ বস্তু হিসাবে চিহ্নিত করেছে।
দেড়শো মিটারেরও বেশি বড় এবং ৭৫ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা বস্তুকে খাতায় কলমে সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়। সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ বস্তুগুলিকে নাসা গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করে। এর কারণ, এগুলি কোনও গ্রহের মহাকর্ষীয় টান দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। ফলে তাদের কক্ষপথের পরিবর্তনও ঘটতে পারে। আর এই আকারের গ্রহাণুর বায়ুমন্ডলে প্রবেশের পরেও সম্পূর্ণ নিঃশেষ নাও হতে পারে। সেই কারণে এদের এমন তকমা।