গত ১৩ মে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের ব্যবধান বাড়িয়ে ১২-১৬ সপ্তাহ করা হল বলে ঘোষণা করে কেন্দ্র। কেন্দ্রের সেই পদক্ষেপকেই সমর্থন করলেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ট্রায়ালের প্রধান পর্যবেক্ষক গবেষক।
প্রফেসর অ্যান্ড্রিউ পোলার্ড বলেন, 'ব্রিটেন ও ভারতের টিকাকরণ নীতির কোনও তুলনা করা যায় না। দুই দেশের পরিস্থিতি দুই রকম।' তিনি জানান, প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় মাসে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
গবেষক জানান, ভারতের পরিস্থিতিতে যে টিকাকরণ নীতিতে সবচেয়ে দ্রুত বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে, সেটি বেছে নেওয়াই শ্রেয়। এক্ষেত্রে অন্তত সকলে যাতে প্রথম ডোজটি পেয়ে যান, সেই চেষ্টাই করছে ভারত। এটা যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত।
তবে, প্রথম ডোজ নিলেই শুধু হবে না। পরে দ্বিতীয় ডোজটি নিলেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রকৃত দীর্ঘস্থায়ী ও শক্তিশালী হবে। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
গত ১৩ মে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের ব্যবধান বাড়িয়ে ১২-১৬ সপ্তাহ করা হল বলে ঘোষণা করে কেন্দ্র। তার আগে পর্যন্ত দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান ছিল ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ।
সেই সময়ে অভিযোগ উঠেছিল, দেশে টিকার আকাল সামাল দিতে দুই ডোজের ব্যবধান বাড়িয়েছে কেন্দ্র। তবে এবার কেন্দ্রের নীতিকেই সমর্থন জানালেন খোদ অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিশেষজ্ঞ।