বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো করোনার প্রতিষেধকের খোঁজে চেষ্টা করছে ভারত। এদিন সেই সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।
সেখানে মোদী বলেন যে যদি প্রতিষেধক মেলে, তাহলে কীভাবে বড় আকারে অনেককে সেই টিকা দেওয়া যাবে, সেই পরিকল্পনা আগে থেকেই করে রাখতে হবে। এর জন্য প্রযুক্তিকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, সেটাও খতিয়ে দেখতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
কতটা এগিয়েছে টিকা আবিষ্কারের কাজ, সেটা নিয়েও পর্যালোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন ভারতের মতো দেশে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট রণনীতি মেনে চলতে হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি জনগণ ও বেসরকারি সেক্টরের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে জানান। বিভিন্ন এজেন্সির মধ্যে সুচারূ সহযোগিতার প্রয়োজন পড়বে বলেও তিনি জানান। সারা দেশে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে চারটি ফ্যাক্টর মাথায়. রাখতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রথমত, যাদের করোনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাদেরকে আগে ভ্যাকসিন দিতে হবে। এর মধ্যে আছেন চিকিত্সক, নার্স, মেডিক্যাল কর্মী, অন্যান্য কোভিড যোদ্ধা ও জনগণের মধ্যে যারা সবচেয়ে সংক্রমণ প্রবণ। দ্বিতীয়ত, যে কোনও জায়গায় যে কেউ যেন টিকা নিতে পারেন। কে কোন রাজ্যের বাসিন্দা, সেটা যেন কোনও অন্তরায় না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে বলেন মোদী। তৃতীয়ত, টিকাটি সস্তা হতে হবে এবং পুরো জনসংখ্যাকেই দিতে হবে এটি। একজন মানুষও যাতে বাদ না যায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। চতুর্থ পুরো প্রক্রিয়াটির নজরদারি ও সাহায্যের জন্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে হবে।
এর আগেই PM-CARES করোনা টিকা বানানোর জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক বলেছে যে তারা কোভ্যাক্সিন বানিয়েছে, যেটা ভারতের প্রথম সম্ভাব্য করোনা টিকা হতে চলেছে। জুলাই মাস থেকে মানুষের ওপর ট্রায়াল শুরু হবে এই টিকার।
এই মুহূর্তে দেশে করোনা আক্রান্ত ৫৬৬৮৪০, মৃত ১৬৮৯৩। দেশে কবে করোনার সর্বোচ্চ সংখ্যা হবে, সেটা এই মুহূর্তে নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছে না কেউ।